জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। নদীয়ার মাজদিয়ার পাপিয়া করকে দেখলে এক কথায় এমনটাই বলা যায়। সংসার সামলে দীর্ঘ কয়েকমাসের প্রচেষ্টায় বানিয়ে ফেলেছেন অভিনব এক দুর্গা প্রতিমা। শুধু অভিনব প্রতিমা নয়,  এর পেছনে রয়েছে অভিনব উদ্দেশ্যও। সেক্ষেত্রে মনে পড়ে যায় নেপোলিয়ান বোনাপোর্টের ‘আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি শিক্ষিত জাতি দিব’ এই চিরস্মরণীয় উক্তির কথা। একটি শিশুর কাছে মা-ই তার প্রথম পাঠশালা,  প্রথম শিক্ষক। একজন শিক্ষিত নারী একটি পরিবারকে শিক্ষিত করতে পারে। আসলে শিক্ষার যে কোনো বিকল্প নেই। আর এই ভাবনাটাই প্রতিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের  মাজদিয়ার বাসিন্ধা গৃহবধূ পাপিয়া কর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দীর্ঘ ১১ বছর ধরে দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। প্রতিবছর মানুষের ফেলে দেওয়া বস্তু দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে, নতুন নতুন বার্তা দেন পাপিয়া কর। আর এবারে তাঁর ভাবনায় শিক্ষা। কেন? তা আপনারা প্রতিমা দেখলেই বুঝতে পারবেন। প্রতিমা তৈরিতে মাটি, বাঁশ, বিচুলি কি ব্যবহার করা হয়নি। বরং প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে, কাগজ, পেন, পেনসিল, রবার, নানা রঙের চক, স্লেট, মোম রঙ, রঙ পেনসিল এমনকি পেনসিল কাটার।


আরও পড়ুন : Durga Puja 2022: ফিজিক্সের গবেষক 'বিধবা' সতীর হাতেই পুজো পান আলাবামার দুর্গা!


এই প্রতিমার ওজন ৬ কেজি, উচ্চতা ৬ ফুট। গত ১০ মাস ধরে একটু একটু করে জিনিসপত্র জোগাড় করে  গড়ে ফেলেছেন প্রতিমা। প্রতিমা গড়ার কাজে পাপিয়া সবসময় পাশে পেয়েছেন স্বামী ও ছেলেকে। শুধু তাই নয়, বছরভর নানা সামাজিক কাজেও যুক্ত থাকেন তিনি। দুঃস্থ মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পথ শিশুদের পড়াশোনাও করান। অভিনব দুর্গা প্রতিমা গড়ে শুধু তাক লাগিয়ে দেওয়াই নয়, এর পিছনে রয়েছে এক মহত্‍ উদ্দেশ্য। দুর্গামূর্তি বিক্রির টাকা দিয়ে রাস্তায় ও ফুটপাতে থাকা ২০০ মানুষকে পূজোয় নতুন জামা কাপড় ব্যবস্থাও করে দেন। তাই সমাজ যখন একজন করে পাপিয়া পান, তাঁকে বেশি করে আগলে নিতেই চান।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)