নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরের মধ্যে মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে দেখে ফেলেন। তাই খুন হতে হয়েছে তপন মুখার্জিকে। দুর্গাপুর হত্যাকাণ্ডে এমনই অনুমান পুলিসের। তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্ক বেশ পুরনো। এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তিও ছিল। জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার রাতে দুর্গাপুরের ফরিদপুরে নিজের বাড়িতেই খুন হন প্রাক্তন শিক্ষক তপন মুখোপাধ্যায়। মেয়ে ও স্ত্রীয়ের সামনে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অপরাধীকে ওই বাড়ির ছাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। দুর্গাপুরের এই খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। প্রথমে পরিবার দাবি করে, প্রদীপ চৌহান নামে ওই অভিযুক্ত তাঁদের মেয়েক উত্ত্যক্ত করত। সম্পত্তি হাতানোর জন্যই সে একাজ করেছে। কিন্তু তদন্ত যত এগোতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে জট।


আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে খুন প্রাক্তন শিক্ষক! আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলাতেই কি বিপত্তি?


দুর্গাপুরে প্রৌঢ় খুন নয়া ক্লু এল পুলিসের হাতে। মা, মেয়ের বক্তব্যে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার। প্রদীপ চৌহান আকাশ থেকে পড়েনি। পুলিস বলছে এর পিছনে রয়েছে লম্বা ইতিহাস।


ফেসবুকের মাধ্যমেই প্রদীপ চৌহানের সঙ্গে শিবানির পরিচয়। শিবানির সঙ্গে প্রদীপের সম্পর্ক একসময় বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে একাধিবার প্রদীপকে বাড়িতে আনে শিবানি। ডিসেম্বরেও শিবানির সঙ্গে দেখা করতে দুর্গাপুরে আসে প্রদীপ। ডিসেম্বরে শিবানিই প্রদীপের জন্য হোটেল ঠিক করে দেয়...



তখনই শিবানির বাবা-মা সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। ফরিদপুর ফাঁড়ির পুলিসের দ্বারস্থ হন শিবানির বাবা-মা। প্রদীপের মোবাইলে শিবানির একটি ফোটোগ্রাফ ছিল। প্রদীপকে মোবাইল থেকে সেই ছবি মুছতেও বাধ্য করে পুলিস। কিন্তু পুলিস অনুরোধ করলেও শিবানির পরিবার লিখিত অভিযোগ করেনি ...


আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনে জেলায় জেলায় অশান্তিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ মন্ত্রীদের


এরপর শিবানির ওপর নজরদারি বাড়ে। তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। কলেজ, টিউশনে যাওয়ার সময়েও সঙ্গে গাড়ির চালক থাকতেন।


রবিবার কী হল?


রবিবার শিবানিই কি প্রদীপকে দরজা খুলে দিয়েছিলেন? দুজনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলাতেই কি মরতে হল তপন মুখোপাধ্যায়কে? পুলিসের দাবি এমনই। মানতে নারাজ মুখোপাধ্যায় পরিবার।