নিজস্ব প্রতিবেদন: জটিল কায়দায় জালিয়াতি চলছিল বহুদিন। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর পুলিসের হাত পিছলে গেলেও দুর্গাপুরে পুলিসের জালে ধরা পড়ল ২ মহিলা সহ 'জামাতাড়া গ্যাং'-এর ৪ জালিয়াত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে জালিয়াতি? পুলিস সূত্রে খবর, সাধারণ মানুষকে ফোন করে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে সেই টাকা জমা করা হতো পেটিএম-এ। সেই টাকা দিয়ে কেন হতো গিফট ভাউচার। তা দিয়ে কেন হতো সোনা। সেই সোনা বিক্রি করে টাকা ক্যাশ করা হতো। এভাবেই উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি গোনার গহনার শেরুম থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার গিফট ভাউচার কেনে দুষ্কৃতীরা। তারপর সেই গিফট ভাউচার দেখিয়ে ওই সংস্থারই আসানসোলের একটি শোরুম থেকে সোনা কেনে দুষ্কৃতীরা।


এদিকে, গোরক্ষপুর থেকে পুলিস এরকম জালিয়াতির খবর আগেই জানিয়েছিল আসানসোল ও দুর্গাপুর পুলিসকে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, দুষ্কৃতীরা রয়েছে আসানসোল ও দুর্গাপুর এলাকাতেই। ওই খবর পেয়েই আসানসোল ও দুর্গাপুর পুলিস ওই স্বর্ণ বিপণির শাখাগুলিকে সতর্ক করে। শুক্রবার ওই সোনা দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি সোনার দোকানে বিক্রি করতে আসে চার জালিয়াত। সঙ্গে সঙ্গেই দোকানের তরফে য়োগায়োগ করা হয় পুলিসের সঙ্গে। এরপরই দুর্গাপুর সিসিটি সেন্টার থানার পুলিস গিয়ে গ্রেফতার করে ওই ৪ জনকে।


আরও পড়ুন-রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, রাজনৈতিক দলগুলিকে সভা না করার পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের


পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হল জামুড়িয়ার শ্রীপুর কলোনির বাসিন্দা বিনোদ পাত্র, অঞ্জনা সিং, কাজল সি ও জামতাড়ার নাইমূল হক। এদের মধ্যে বিনোদ পাত্রের বিরুদ্ধে গোরক্ষপুর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে বিনোদের নামে একটি অভিযোগ ছিল সিআইডিতে।


শুক্রবার বিকেলে ধরা পড়ার সময় ধৃতদের কাছে ছিল ৩৪.৫৬০ গ্রাম সোনা। এর মূল্য, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭০ টাকা। এছাডা়ও তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ৫ দিন পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আরও কোনও অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িত কিনা তা নিয়ে তাদের জেরা করা হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)