স্নাতকস্তরে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপের `রাজনৈতিক টানাপোড়েন`, দিশেহারা ছাত্রছাত্রীরা
সোমবার থেকে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়িতে দুই জায়গায় আলাদা আলাদা শিবির করে করে বিনামূল্যে অন লাইনে ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু করেছে যুব তৃণমূল এবং ABVP যুবকেরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্নাতকস্তরে ভর্তি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে উত্তরবঙ্গের মালবাজারে। উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর বিভিন্ন কলেজে অনলাইনের ফর্ম ভর্তির কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যে সর্বত্র লকডাউন চলছে। অধিকাংশ সাইবার কাফে বন্ধ। যে কয়েকটি খোলা আছে সেগুলোতে যেমন ভিড় তেমনি টাকা লাগছে।
এই লকডাউনে সবার আর্থিক পরিস্থিতি মন্দা যাচ্ছে। এই অবস্থায় এত টাকা খরচ করে কাফেতে গিয়ে ফর্ম ভর্তি সম্ভব হচ্ছে না। তাই সোমবার থেকে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়িতে দুই জায়গায় আলাদা আলাদা শিবির করে করে বিনামূল্যে অন লাইনে ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু করেছে যুব তৃণমূল এবং ABVP যুবকেরা।
আরও পড়ুন: রাজ্যের আবেদনে সায়, তৃতীয় দফায় ফের বন্ধ হচ্ছে বিমান পরিষেবা
ছাত্রদের পরিষেবায় এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বাধে গোলমাল। এদিন বহু ছাত্রছাত্রী ABVP শিবিরে ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়ে ফিরে আসে। কেন ফিরে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের এই প্রসঙ্গে ABVP-র পক্ষ থেকে গৌরভ নন্দী বলেন, "মঙ্গলবার সকালে তৃণমুলের কিছু যুবক ফোন করে আমাদের শিবিরে অন লাইনের প্রক্রিয়াতে যে কাজ করছিল তাকে হুমকি দিয়ে তৃণমুল শিবিরে নিয়ে যায়। বলে এখানে কাজ করতে পারবি না। এই ছেলেটিকে নিয়ে যাওয়াতেই সমস্যায় পরে যাই আমরা। সকাল থেকে বহু ছাত্রছাত্রী ফর্ম ফিলাপ করতে এসে খালি হাতে ঘুড়ে গেছে। চক্রান্ত করে ছাত্র পরিষেবা করতে বাধা দেওয়া হল।"
ABVP-র এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে যুব তৃণমুল। মালবাজার ব্লকের যুব তৃণমুলের ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, "ABVP মিথ্যে কথা বলছে। যে যুবকটি গতকাল ABVP শিবিরে অন লাইনে ফর্ম ফিলাপের কাজ করছিল সে যুব তৃণমুলের সদস্য। গতকাল সে জানত না ওদলাবাড়িতে আমরাও অন লাইনের শিবির করেছি। তাই সে ABVP শিবিরে বসেছিল। কিন্তু সে যখন মঙ্গলবার জানতে পেরেছে যুব তৃণমুলের অন লাইনের শিবির ওদলাবাড়ি বাজারে বসেছে, তখন সে স্বেচ্ছায় তৃণমুলের শিবিরে এসে অনলাইনের প্রক্রিয়ার কাজ করছে। আমরা জোর করে কাউকে আন নি। আর এখানে রাজনীতির ব্যাপার কেন আসছে?” এই টানাপোড়েনে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা।