নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রেনের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা স্টেশনে। লাগাতার রেল অবরোধে বন্ধ ট্রেন চলাচল। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন। আটকে থাকা ট্রেনগুলিতে স্থানীয়রা পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তি। অভিযোগ মানতে নারাজ ট্রেন। সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবরোধের পর বেলা ১২টা নাগাদ ওঠে অবরোধ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭.৩০ মিনিট নাগাদ মেচেদা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক সাইকেল আরোহী। তাকে ধাক্কা মারে মেচেদাগামী একটি লোকাল ট্রেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নাম শেখ আলম। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিত্সা করতে গেলে জিআরপি বাধা দেয়। এমনকী জলও দিতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। প্রায় ২ ঘণ্টা পড়ে থেকে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এর পরই শুরু হয় রেল অবরোধ। 


 



মেচেদা স্টেশনের সমস্ত লাইন অবরোধ করে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় খড়গপুর ও হাওড়ার মধ্যে ট্রেন চলাচল। আটকে পড়ে বহু লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা ট্রেনগুলি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে স্থানীয়রা। আটকে পড়ে ইস্পাত এক্সপ্রেস, ফলকনুমা এক্সপ্রেস-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। আটকে পড়ে খড়গপুর, পাঁশকুড়া ও মেচেদা লোকাল। 


ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোলাঘাট থানার পুলিস। যদিও তাদের অনুরোধে কাজ হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এজন্য দায়ী রেলই। 


 



রেলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'স্থানীয়দের বিক্ষোভেই দেহ সরানো যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের অধিকারভূক্ত। ফলে এব্যাপারে অবরোধকারীদের অনুরোধ করা ছাড়া কিছু করার নেই রেলের। রাজ্যের পুলিসকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে রেল।' 


 



গণধর্ষণে গর্ভবতী হওয়ার পর হাতুড়ে দিয়ে গর্ভপাত, মর্মান্তিক পরিণতি হল কিশোরীর


বেলা ১২টা নাগাদ ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। ততক্ষণে হাওয়ার নিউ কমপ্লেক্সে ঘেমে নেয়ে নাস্তানাবুদ হাজার হাজার যাত্রী। একই অবস্থা সাঁতরাগাছি-সহ ওই শাখার অন্যান্য স্টেশনেও।