বিক্রম দাস: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির  হদিশ পেল ইডি। সূত্রের খবর, একটা-দুটো নয়, ১৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে অয়ন শীলের। গত এক সপ্তাহে আরও ৮টি ফ্ল্যাটের কথা জানতে পেরেছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। বেশিরভাগ সম্পত্তি-ই হুগলিতে। ইডি-র দাবি, নিজের এবং আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছেন অয়ন শীল। এছাড়াও, অয়নের নামে-বেনামে প্রায় ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিশ মিলেছে। অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী এবং অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেডের কর্মীদের নামেও খোলা হয়েছিল অ্যাকাউন্ট। ইডি সূত্রে খবর, আজ-ই অয়নের সংস্থার এক গাড়িচালক ও এক কর্মীকে তলব করা হয়েছে। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত,  শুক্রবার অয়ন শীলের বাড়িতে উদ্ধার করা নথির তথ্য মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেয় ইডি। ইডির সেই রিপোর্টে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। অয়ন শীলের বাড়িতে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করেছে ইডি। উদ্ধার হওয়া নথিতে কাঁচড়াপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, টিটাগড়, বরানগর, কামারহাটি, হালিশহর, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদমের মত একাধিক পুরসভার নাম রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডির দাবি, অপরাধ সংঘটিত করার পিছনে রয়েছে উচ্চ প্রভাবশালী ব্যক্তি। পুরসভার নিয়োগে রাজনৈতিক নেতাদের মদত রয়েছে। ওএমআর কারচুপি করে বেআইনি নিয়োগ করা হয়। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে কম করে ২০০ কোটি টাকা আয় করেছেন অয়ন শীল। 


উল্লেখ্য, ইডি এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার বড় নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই চাইলে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তও করতে পারে। কারণ তাঁর মতে, দুর্নীতির জাল অনেক দূর দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে। তাই চাইলে ইডির রিপোর্টের সূত্র ধরে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারে সিবিআই। তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। আগামী ২৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি। এপ্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'পুর নিয়োগের তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে।' যার জবাবে সিবিআইও জানিয়েছে যে, তারা তদন্ত করতে রাজি। সিবিআই জানায়,'আদালত নির্দেশ দিলে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে রাজি।'


প্রসঙ্গত, ইডির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে বলেন, 'সাধারণ মানুষ মাত্র ১০ হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য খেটে মরছেন। আর এক-একজনের কাছে এত এত টাকা! অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে? একাংশ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কোটি কোটি টাকা! আসছে কোথা থেকে? এইসব নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে দেখুন বাজারে তাদের কত দেনা আছে। সাধারণ মানুষের সব জানা উচিত। কারণ, দেশের আসল মালিক তার জনগণ।' তারপরই তিনি সিবিআই চাইলে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিরও তদন্ত করতে পারে বলে জানান। 


আরও পড়ুন, Tapas Saha: বিধায়কের বাড়ির বাগানে মহানন্দে খাসির মাংসে পিকনিক, নিজে হাতে খাওয়ালেন তাপস সাহা!



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)