বিধান সরকার: চন্দননগরে ইডি অভিযান পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতে। চন্দননগর হরিদ্রাডাঙ্গা এলাকায় এক নির্মাণ সহায়কের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। নির্মাণ সহায়ক সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। সন্দীপ সাধুখাঁ আগে ধনিয়াখলীর বেলমুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মান সহায়ক ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি খানাকুলের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক পদে রয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Bardhaman Accident: পাম্পে তেল ভরে জাতীয় সড়কে উঠতেই পেছন থেকে ধাক্কা, মর্মান্তিক পরিণতি তরুণীর


সোমবার সকাল থেকেই জেলায় ঘুরতে থাকে ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে তারা হানা দেয় চুঁচুড়ার ময়নাডাঙ্গা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সেই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ সাধুখাঁ হওয়ায় ভুল করে সেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এরপর সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায় সিঙ্গুর হয়ে হরিপাল। সেখান থেকে ঘুরে আবার চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে। প্রায় সারে তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে সোয়া ১২ টা নাগাদ চন্দননগর হরিদ্রাডাঙ্গায় নির্মাণ সহায়ক সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়ি খুঁজে পায়। বাড়িতে সন্দীপ বাবুর মা মলিনা দেবী স্ত্রী মৌসুমী দেবী রয়েছেন।


দুজন প্রতিবেশীকে ডেকে তাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকেছেন ইডি আধিকারিকরা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ সামনে আসে। এ বিষয়ে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালে ধনিয়াখালি, মুর্শিদাবাদ-সহ মোট পাঁচটি এফআইআর হয়। তার ভিত্তিতে হাইকোর্টে মামলা হয়।


এই প্রথমবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী ১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়ার দাবিতে সম্প্রতি দুদিন ধরে ধর্ণা দিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গেছেন শ্রমিকদের নিয়ে ১০০ দিনের টাকা আদায়ের দাবিতে। ধর্ণা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ২১ লক্ষ শ্রমিককে তাদের বকেয়া টাকা দেবে রাজ্য সরকার। এরপরই মঙ্গলবার সকালে দেখা যায় চারটি জেলার ছ'টি জায়গায় শুরু করে। 


সন্দীপের মা মলিনা বলেন, সন্দীপের বাবা অমল সাধুখাঁ ২০০৮ সালে প্রয়াত হন। তিনি রেলে চাকরি করতেন ছেলে তার আগেই পঞ্চায়েতে চাকরি পায়। ১৯৮৪ সালে হরিদ্বার ডাঙ্গায় জমি কিনে বাড়ি করেন। ইডি কেন এল কিসের তদন্ত সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সন্দীপের স্ত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী আগে ধনিয়াখালির বেলমুড়ি পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক পদে চাকরি করতেন। বর্তমানে খানাকুলের একটি পঞ্চায়েতে আছেন।


তিনি আরও বলেন, 'প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি কাজে বেরিয়ে যান। বাড়িতে ইডি অফিসাররা এসে জিজ্ঞেস করে আমার স্বামীর কথা তখন আমি তাদের ফোন নাম্বার দিই তারা ফোনে কথা বলেন। কি দুর্নীতি কেন তদন্ত এসব বিষয় আমার অজানা।'



আরও পড়ুন, Gosaba: সরকারি রাস্তার-ড্রেনের ইট চুরি! অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)