জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব ইডির
`পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমি নোটিস পেয়েছি। ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে ডেকেছে।`
অনুপ মুখোপাধ্য়ায়: আর্থিক সংক্রান্ত বিষয়ে এবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। এই মর্মে বুধবারই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর কাছে। ঠিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থাপনায় এই জেলার প্রধান, সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ইডি তলব করায় পুরুলিয়ার জেলা রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলা রাজনৈতিক মহলে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর এই জেলায় এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কয়লা পাচার মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকে জড়িয়ে সরব হয়েছিলেন। এরপরই বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও তলব করেছিল ইডি। এবার সভাধিপতিকে তলব করল। আবার গত মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পুরুলিয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন। তারপরই এই নোটিস আসার পিছনে রাজনৈতিক গন্ধ পাচ্ছে অনেকেই। এই তলবের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমি নোটিস পেয়েছি। ১৪ নভেম্বর দিল্লিতে ডেকেছে। সেই দিন এবং পরের দিন পুরুলিয়ায় আমার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচির আয়োজক আমি। আমার থাকা দরকার। তাই আমি চিঠি লিখব। ১৪ তারিখ এবং ১৫ তারিখ যদি আমাকে সময় দেওয়া হয় তাহলে ভালো হয়। যা যা জানতে চেয়েছে দেখাব। আমার পরিবারের সব সদস্যের তথ্যপ্রমাণ নিয়ে যাব। যদি কিছু প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে ক্লিন চিট সার্টিফিকেট নেব। তারপর ইডির বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা দেখব।'