পিয়ালি মিত্র: বাজি কারখানার লাইসেন্স রিনিউ না করেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচছিলেন ভানু। ২০২০ সালে একবার গ্রেফতার হন। গ্রামে রবিন হুড টাইপের একটা ইমেজ ছিল এগরার বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগের। সঙ্গে ছিল রাজনৈতিক প্রভাব। কটকের একটি হাসপাতালে ভানুর খোঁজ পাওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসছে ভানু সম্পর্কে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শিলাবৃষ্টি বৃষ্টি থেকে কালবৈশাখীর দাপট, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভিজবে কোন কোন জেলা, জানাল হওয়া অফিস 


জানা যাচ্ছে সম্প্রতি ওড়িশা থেকে একটি বড় অর্ডার পেয়েছিলেন ভানু। তার জন্যও বাজি তৈরি চলছিল। ওড়িশা থেকে ২ জন এসেছিল বাজি নিতে। সেই বাজি কোয়ালিটি টেস্ট করে দেখাতে গিয়েই আগুনের ফুলকি পড়ে মজুত বাজিতে। তাতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সিআইডি সূত্রে এমনটাই খবর। গতকাল ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারও এনিয়ে রিপোর্ট দেবেন। 


কোভিড শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত বাজি কারখানার লাইসেন্স ছিল ভানুর। কিন্তু তার পরে তিনি আর ওই লাইসেন্স রিনিউ করেননি। ফলে গত ৩ বছর ভানুর হাতে কোনও লাইসেন্সও ছিল না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এতদিন বাজি কারখানা চালাচ্ছিলেন ভানু। পুলিস সূত্রে খবর, ২০২০ সালে একবার ভানুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। ২০২২ সালেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যান।


স্থানীয় সূত্রে খবর, নিজের বেআইনি কারখানা যাতে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যা তার জন্য এলাকায় একটি রবিন হুড ইমেজ তৈরি করেছিলেন ভানু। গ্রামবাসীদের বিভিন্ন সমস্যায় তিনি পাশে দাঁড়াতেন। নিজের বাজি কারখানায় এলাকার মহিলাদেরই কাজ দিতেন। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করতেন তারা। পুলিস সূত্রে খবর, পুলিস যখন ভানু কারখানায় যেত তখন ওই এলাকার শ্রমিকদেরই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন ভানু। অভিযান চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বাধার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে পুলিসকে। অর্থাত্ কারখানায় কত বাজি রয়েছে , মশলার পরিমাণ কত তার কোনও তথ্য ছিল না পুলিসের কাছে। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি ওড়িশা থেকে একটি বড় অর্ডার পেয়েছিলেন ভানু। তার জন্যও বাজি তৈরি চলছিল। 


উল্লেখ্য, কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভানু বাগ। তাকে এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না। কারণ তার জন্য চিকিত্সকদের অনুমতি লাগবে। বিস্ফোরণে ভানুর মুখ, হাত ও পা মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছে। ফলে এখনই তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।  ভানু বাগকে আটক করা না গেলেও তার স্ত্রী, ছেলে ও ভাইকে আটক করেছে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বিস্ফোরণের পর ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন ভানু বাগ। ঘটনার ২ দিন পর তার খোঁজ পেয়ে গেল পুলিস। তার বিরুদ্ধে গতকালই এফআইআর করেছে পুলিস।


ভানুর খোঁজ মেলা নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ভানু বাগ বাঘের মতোই আছে। পুলিস এখনও তার গায়ে হাত দেয়নি। কিন্তু ওকে ধরে আনলেও সাজা হবে কীভাবে? মামলায় যে ধারা দেওয়া হয়েছে তাতে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ফাইন হবে। ২-৪ মাস জেলে থেকে বেরিয়ে পড়বে। ওর ছাড়া পাওয়ার রাস্তা তৈরি করে রেখেছে পুলিস। হাসপাতালে এক মাস থাকবে, জেলে একমাস থাকবে তারপর বেরিয়ে যাবে। সরকার যদি না চায় তাহলে এরকমই হবে। সরকার এনিয়ে সিরিয়াস নয়। কারণ পুলিস ওখান থেকে টাকা খেত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)