Egra Blast: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনই এনআইএ তদন্ত নয়, হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত সিআইডি-র হাতে
আদালত আরও জানিয়েছে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তার গভীরতা রয়েছে। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং বিস্ফোরণ আইনের জন্য যথোপযুক্ত তহ্য প্রমানের উপর ভিত্তি করে বিবেচনা করা হবে সেখানে বিস্ফোরণ আইন দেওয়া যায় কিনা। এর উপরেই নির্ভর করছে এনআইএ তদন্ত হবে কিনা।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এখনই এনআইএ তদন্ত নয়। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। জানানো হয়েছে আপাতত এই ঘটনার তদন্তও করবে সিআইডি। তাঁদের তদন্তের পরে বিস্ফোরক আইন নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখে এই আইন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিআইডি। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলেই তদন্ত যেতে পারে এনআইএ-র হাতে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বেআইনি মাটি বিক্রি, করলা নদী দূষণের অভিযোগ স্থানীয়দের
শুভেন্দু অধিকারী চেয়েছিলেন এনআইএ এবং সিবিআই তদন্ত। পাশাপাশি তিনি এও চেয়েছিলেন যে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ যে মেটেরিয়াল তাঁরা দেখছেন, তাতে মনে হচ্ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার মতো পরিবেশ রয়েছে। যদিও আবেদনের উপর গুরুত্ব রেখে রাজ্য পুলিসকে বলা হয়েছে সেখানে বারতি পুলিস মোতায়েন করতে হবে যাতে আইন শৃঙ্খলা ঠিক থাকে। আগামী ১২ জুন মামলার শুনানি হবে। এর মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে সিআইডি।
আদালত আরও জানিয়েছে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তার গভীরতা রয়েছে। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সুতরাং বিস্ফোরণ আইনের জন্য যথোপযুক্ত তহ্য প্রমানের উপর ভিত্তি করে বিবেচনা করা হবে সেখানে বিস্ফোরণ আইন দেওয়া যায় কিনা। এর উপরেই নির্ভর করছে এনআইএ তদন্ত হবে কিনা।
রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়েছে এইক্ষেত্রে যদি বিস্ফোরক আইনলাগু করা হয় তাহলে রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে যে এনআইএ এই তদন্তও গ্রহণ করবে কিনা।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: বুথ স্তর পর্যন্ত মজবুত করতে হবে সংগঠন! নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের লক্ষ্যে জঙ্গলমহল
অন্যদিকে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভানু বাগ। তাকে এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না। কারণ তার জন্য চিকিৎসকদের অনুমতি লাগবে। বিস্ফোরণে ভানুর মুখ, হাত ও পা মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছে। ফলে এখনই তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। ভানু বাগকে আটক করা না গেলেও তার স্ত্রী, ছেলে ও ভাইকে আটক করেছে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বিস্ফোরণের পর ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন ভানু বাগ। ঘটনার ২ দিন পর তার খোঁজ পেয়ে গেল পুলিস। তার বিরুদ্ধে গতকালই এফআইআর করেছে পুলিস।
জানা যাচ্ছে সম্প্রতি ওড়িশা থেকে একটি বড় অর্ডার পেয়েছিলেন ভানু। তার জন্য বাজি তৈরি চলছিল। ওড়িশা থেকে ২ জন এসেছিল বাজি নিতে। সেই বাজির কোয়ালিটি টেস্ট করে দেখাতে গিয়েই আগুনের ফুলকি পড়ে মজুত বাজিতে। তাতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড। বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সিআইডি সূত্রে এমনটাই খবর। গতকাল ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারও এনিয়ে রিপোর্ট দেবেন।