প্রদ্যুত্ দাস: বয়স কোনও বিষয়ই নয়। সত্তর পার করে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এক বৃদ্ধ। আর তার আয়োজন করছেন পাত্রীর মেয়ে। বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ায়। কিন্তু বাধসাধল পাত্রের অসুস্থতা। সেখানেও এগিয়ে এলেন মেয়ে । হাসপাতালে ভর্তি হবু বাবার কাছে মায়ের বিয়ের সিঁদুর পাঠালেন মেয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কুন্তলের বয়ানের সূত্রেই ডাক! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তলব যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে


পাত্র নিরোদ দে। বয়স ৭২ বছর। পাত্রী পায়েল ভট্টাচার্য। নিরোদবাবু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। পাত্রী পায়েল ভট্টাচার্য এক সন্তানের জননী। বিধবা। দুজনে ঠিক করেছেন বিয়ে করবেন।  নিরোদবাবুর ইচ্ছে ছিল জীবনের শেষদিকে তাঁর একাকীত্বের সঙ্গী কেউ থাকুক। আর একাকীত্বে ভুগছিলেন পায়েল ভট্টাচার্যও। এই বিয়ে নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে পান্ডাপাড়ায়।


পায়েল ভট্টাচার্য জানান, একে অপরের পরিপূরক হতেই এই সিদ্ধান্ত। এই বিয়েতে প্রধান উত্সাহ দিয়েছে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তাঁর মেয়ে। বিয়ের জন্য পায়েল দেবীর বাড়িতে সামিয়ানা বাঁধা হয়েছে। বুধবার হওয়ার কথা বিয়ের রিসেপশন। এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে এক অনাকাঙ্খতি পরিস্থিতি। হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নিরোদবাবু। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে। এখন তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু তা বলে বিয়ে তো আটকাবে না!


অসুস্থ হবু বাবার দ্রুত আরোগ্য কামনায় বাড়িতে বিপত্তারিণীর পুজোয় বসেন মেয়ে। মায়ের হাতে পুজোর ফুল, সিঁদুর  তুলে দিলেন। বিপত্তারিণী পুজোর সিঁদুর নিয়ে পায়েলদেবী ছুটে যান শিলিগুড়ির সেই বেসরকারি হাসপাতালে। 
আই সি ইউ তে ভর্তি পাত্র নিরোদ বাবু স্যালাইন চলতে থাকা হাত দিয়েই পায়েল দেবীর সিথিতে পরিয়ে দেন সিঁদুর। পাত্র অসুস্থ তাই রিসেপশনের অনুষ্ঠান আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)