Balurghat: বৈদ্যুতিক চুল্লি বন্ধ মাসের পর মাস! খোলা জায়গাতেই চলছে দাহকাজ...
Balurghat: বালুরঘাট শহরের এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শব দাহ করার একমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি বন্ধ। নদীর ধারে খোলা জায়গার দাহ করতে হচ্ছে দেহ। ছড়াচ্ছে দূষণ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বালুরঘাট শহরের এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শব দাহ করার একমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি বন্ধ বিগত চার মাস। অভিযোগ, হেলদোল নেই পুরসভার। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় বালুরঘাটের খিদিরপুর শ্মশানের দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেটি সারিয়ে তোলার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি পুরসভা।
আরও পড়ুন: Purulia: সাহেব বাঁধের কচুরি পানা, আলো আর দূষণের সঙ্গে লড়ছে দূর দেশের পাখিরা...
ফলে নদীর ধারে খোলা জায়গার মধ্যে শব দেহ দাহ চলছে। এর ফলে দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়। এদিকে শব দেহ দাহ করতে আসা মানুষজনের চিৎকারে ও মাতালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর শ্মশান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সব বিষয়ে জানানো সত্ত্বেও পুরসভা নিষ্ক্রিয়। পুরসভার চেয়ারম্যান অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ফের চালু করা হবে চুল্লিটি। কিন্তু একটি জরুরি পরিষেবা চার মাস ধরে বন্ধ কেন? কেনই বা সেটি সারিয়ে তোলার উদ্যোগ এতদিন গ্রহণ করা হয়নি, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর নেই পুরসভার কাছে।
আট বছর আগে, অর্থাৎ, ২০১৫ সালে এই বৈদ্যুতিক চুল্লির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকারও বেশি। কিন্তু প্রকল্প শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে একটি চুল্লি খারাপ থাকে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। মাঝে মাঝেই চুল্লি বিকল হয়ে পড়ে এবং তা মেরামত করে তুলতে অনেকটা সময় যায়। তখন আবার খোলা আকাশের নীচেই শব দাহ করতে হয়।
আরও পড়ুন: Katwa: মানুষ আর প্রকৃতির জোড়া থাবায় আক্রান্ত শীতের খেজুর গুড়, পাটালি...
বালুরঘাটের খিদিরপুর শ্মশানে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মৃতদেহ পোড়ানো হয়। শুধু বালুরঘাট শহর নয়, শহর-লাগোয়া আশপাশের গ্রাম থেকেও দেহ নিয়ে আসেন এলাকাবাসী। ইলেকট্রিক চুল্লিতে সরকারি হিসেব অনুযায়ী মাত্র ৭০০ টাকা লাগে। অন্য দিকে, খোলা চুল্লিতে খরচ ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। শুধু কাঠখড় কিনতেই এই খরচ! এটা সাধারণ মানুষের কাছে বাড়তি চাপ। পুরসভার চেয়ারম্যান বলছেন, কাজের জন্য দক্ষ মেকানিক আনতে হলে কলকাতার উপরে নির্ভর করতে হয়। এখনও সেই প্রচেষ্টা চলছে, অচিরেই কলকাতা থেকে ভালো মেকানিক এনে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।