Elephant Death: সেনার গোলাগুলিতেই বেঘোরে গেল প্রাণ! শালুগাড়া রেঞ্জে মিলল হাতির মৃতদেহ
বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হরি কৃষ্ণনকে ফোন করলে তিনি জানান, `হাতিটির মৃত্যুর কারন এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আগামিকাল ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই বলা সম্ভব। তবে হাতির শরীর থেকে গুলির টুকরো মিলেছে।`
নারায়ণ সিংহ রায়: মালবাজারে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে প্রাণ হারিয়েছেন তিলক বাহাদুর রাই নামে এক গ্রামবাসী। এবার এক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হল শালুগাড়া রেঞ্জের সরস্বতীপুর ফরেস্টে। মঙ্গলবার জঙ্গলে মৃত হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী। কীভাবে ওই হাতিটির মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। কারণ তার শরীরে রয়েছে গোলার টুকরো।
আরও পড়ুন-হঠাৎই সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জের ভিতরে মোষ-পালক, গুলিতে ছিন্নভিন্ন শরীর....
সরস্বতীপুর ফরেস্টে ওই হাতিটির মৃতদেহ দেখেই বন দফতরকে খবর দেয় এলাকাবাসী। বনকর্মীরা এসে হাতিটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুরু হয়ে হাতিটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ। ঘটনাস্থলে সেনার গোলাবর্ষণের প্রমাণ মেলে। হাতির দেহ থেকে মিলেছে ধাতব টুকরো। এমনটাই খবর বন দফতর সূত্রে।
যে এলাকায় হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেই এলাকা-সহ লালাটং বস্তি, গুলাম হাতি চলাচলের করিডোর। সেই করিডোর কাছেই রয়েছে সোনা গোলাবর্ষণের অনুশীলন ক্ষেত্র। একদিকে বাগরাকোট আর অন্যদিকে লালাটং বস্তি। সেই লালাটং বস্তি এলাকাতেই মৃত্যু হয় হাতিটির।
এলাকাবাসী সোম ওঁরাও জানান, "হাতিটিকে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তবে ভয়ে আমরা কাছে যায়নি। বন দফতরকে খবর দিলে তারা এসে হাতিটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে৷ কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। তবে গতকাল থেকে সেনাদের গোলা বর্ষণের অনুশীলন চলছিল। তার বিভিন্ন গোলার টুকরো আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে। সেই কারনেও মৃত্যু হতে পারে।"
অন্যদিকে বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হরি কৃষ্ণনকে ফোন করলে তিনি জানান, "হাতিটির মৃত্যুর কারন এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আগামিকাল ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই বলা সম্ভব। তবে হাতির শরীর থেকে গুলির টুকরো মিলেছে।"
এদিকে, মালবাজারে সেনার ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে প্রাণ হারিয়েছেন তিলক বাহাদুর রাই নামে এক ব্যক্তি। বাড়ি,মালবাজারের বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের টোটগাঁও এলাকায়। এদিন সকালে গ্রামের পাশেই তিস্তার নদীর চরে মোষ চরাতে গিয়ে যান তিনি। নদীর চরেই আবার সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ। সেখানে জওয়ানদের বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, ফায়ারিং রেঞ্জে যাতে গবাদি পশুও ঢুকে না পড়ে, সেদিকেও গ্রামবাসীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। স্থানীয়দের দাবি, নদীর চরে মোষ চরাতে দিয়ে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে ঢুকে পড়েন তিলক বাহাদুর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গুলি আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে তাঁর শরীর! থানায় খবর দেন পরিবারের লোকেরা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস।