জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাতির পালের হামলায় লন্ডভন্ড হয়ে গেল মালবাজার মহকুমার আইভিল চা-বাগান। আইভিল চা-বাগানের ৬টি শ্রমিক আবাস। দাঁতালের তাণ্ডব থেকে বাদ যায়নি ম্যানেজারের বাংলোর একাংশও। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, মঙ্গলবার গভীর রাতে। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এই বাগানটিতে। চা-বাগানের কর্মীরা জানান, বন দফতরকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে। বন দফতরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়ার রেঞ্জার সজল দে জানান, হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রেখে চলেছেন বনকর্মীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Malbazar: চা-বাগানের ভিতরে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎ যম! কাজ বন্ধ রেখে ছুটলেন সকলে...


আইভিল বাগানসূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটি গতকাল রাতে বাগানগুলির একাধিক শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে। বয়লা লাইনের ২টি, ফ্যাক্টরি লাইনের ২টি, কবর লাইনের ১টি ও দোকান লাইনের ১টি করে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় হাতিগুলি। ম্যানেজারের বাংলোর ভেতরেও হাতি ঢুকে পড়ে। সাবাড় করে বেশ কিছু কলাগাছ। ওই বাংলো চত্বরে বাংলোর মালি থাকেন। তাঁর বাড়িটিও হাতিত ধূলিসাৎ করে দেয়। স্থানীয় শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, গোটা রাত বুনোগুলি সেখানে দাপিয়ে বেড়ায়। যে বাড়িগুলি ভাঙে সেখানে ছিল শোওয়ার ঘর। ছিল রান্নাঘর। রান্নাঘরে মজুত ছিল ধান, চাল, আটা-সহ আনাজপাতি। নিমেষের মধ্যে সেসবই খেয়ে ফেলে হাতির পাল।


এদিকে, গতকালই চা-বাগানে বাইসনের হানার খবর মিলেছিল। দলছুট একটি বাইসন পথভুলে রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ডুয়ার্সের দেবপাড়া চা-বাগানে ঢুকে পড়েছিল। বাইসনটিকে দেবপাড়া চা-বাগানের ২৫ ও ৩২ নম্বর সেকশনে ঘোরাফেরা করতে দেখে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ বন দফতরকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার কর্মীরা চা-বাগানে আসেন। তবে তখন আর বাইসনটিকে চা-বাগানে দেখা যায়নি। তবে সেখানে পাহারা বসানো হয়। বাইসনটি চা-বাগানে থাকার আশঙ্কায় চা-বাগানে কিছু সেকশনে কাজ বন্ধও রেখেছিলেন চা-বাগান কর্তৃপক্ষ।


গতকাল মেটেলি ব্লকের চা-বাগানেও হানা দিয়েছিল হাতি। সোমবার রাতে হামলা চালিয়ে দুটি শ্রমিক আবাস গুঁড়িয়ে দিয়েছিল হাতি। আবাসের দেওয়াল ভেঙে দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হল ঘরের আসবাবপত্র। ঘর থেকে পালিয়ে কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচেছিলেন বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি মেটেলি ব্লকের আইভিল চা-বাগানেরই জরিপ লাইনের। এই হাতির হামলার ঘটনায় সমগ্র বাগানে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।


আরও পড়ুন: Dakshin Dinajpur: প্রদীপের নীচে অন্ধকার! কালীপুজোর আগেই ঘোর অমাবস্যা কুমোরপাড়ায়?


এর আগে চা-বাগান থেকে দুটি চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন চা-বাগানে। তার মধ্যেই চা-বাগানে চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার হল। সোমবার মালবাজার মহকুমার  কিলকোট চা-বাগানের ১৭ নম্বর সেকশনে ২টি চিতাবাঘের শাবক দেখতে পান শ্রমিকরা। চিতার ভয়ে বেশ কিছুক্ষণ বাগানে কাজ বন্ধ থাকে। শাবক থাকা মানেই তো আশপাশে মা-চিতাবাঘও রয়েছে। খবর পেয়ে খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা বাগানে পৌঁছন। আপাতত শাবক দুটিকে বাগানে রেখেই পর্যবেক্ষণ করছেন বনকর্মীরা। মনে করা হচ্ছে, মা-লেপার্ড খাবারের সন্ধানে আশেপাশেই রয়েছে। এই মুহূর্তে শাবকগুলিকে সেখান থেকে সরালে মা চিতাবাঘ শাবকের জন্য আক্রমণ করে বসতে পারে। পাশাপাশি  সাধারণ মানুষ যাতে শাবকদের সামনে যেতে না পারে সেই দিকেও নজর রেখেছিলেন বনকর্মীরা। কিলকোট চা-বাগান চাপড়ামারি জঙ্গল সংলগ্ন হওয়ায় মাঝেমধ্যেই বন্যপ্রাণীরা চলে আসে বাগানে। এর আগেও কিলকোট চা-বাগানে চিতাবাঘের দেখা পাওয়া গিয়েছিল।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)