অরূপ বসাক এবং প্রদ্যুত দাস​: আরজি কর কাণ্ডের পর সামনেই রয়েছে বাংলায় উপনির্বাচন। ফলে এই পরিস্থিতিতে এই উপনির্বাচন শাসক দলের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন এই উপনির্বাচনে 'তৃণমূল থার্ড হবে'। কিন্তু কোথায় সেসব! উলটে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক লেগেছে চারিদিকে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলার বোন মেরিনা কুজুর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: চড়াম চড়াম আর বাজবে না? বীরভূমের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন অনুব্রত!


রবিবার সন্ধ্যায় নাগরাকাটায় শাসক দলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে তৃণমূলে যোগ দেন মেরিনা। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সভাপতি মহুয়া গোপ, নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সভাপতি প্রেম ছেত্রীসহ আরো অনেকে। মেরিনা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত একান্ত ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত। দাদার সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তার পুরনো দল বিজেপি থেকে তিনি কোন সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ করেন। যদিও জন বারলা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 


গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুলকাপাড়া এলাকা থেকে বিজেপির টিকিতে নির্বাচিত মেরিনার এই দল বদলকে ঘিরে কৌতুহল তুঙ্গে উঠেছে গোটা এলাকাতেই। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি অবশ্য তাকে টিকিট দেয়নি। এদিন মেরিনার সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন সিপিএমের টিকিটের নির্বাচিত চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য অরবিন্দ গুড়িয়া। তিনি নয়া সাইলি চা বাগানের গুয়াবাড়ি লাইনের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। বিজেপির নাগরাকাটা এক নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বরুণ মিত্র বলেন, মেরিনা একসময় আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য থাকলেও গত তিন বছর ধরে দলে তার কোন সক্রিয়তা নেই। ওর তৃণমূলে যোগদান বিজেপিতে কোন প্রভাব খেলবে না। পঞ্চায়েত সদস্য থাকাকালীন তিনি কোনও কাজও করেননি। জন বারলার বোন তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সোমবার দুপুরের পর জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতা সৌজিৎ সিংহ বলেন, মেরিনা কুজুর সরাসরি বিজেপিতে ছিলেনই না। তৃণমূলে যোগদান করলেও বা বিজেপি সর্ববৃহৎ দল সমুদ্র, এই সমুদ্রে অনেকে আসবে যাবে তাতে দলে কিছু যায় আসে না। উপনির্বাচনে যেটা হবে, মানুষের একটাই প্রশ্ন জাস্টিস চায়, যা অন্যায় হচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলকে ছুড়ে ফেলতে হবে। এছাড়া কোন অল্টারনেটিভ নেই। যদি বাংলা তথা উত্তরবঙ্গের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে হয় তাহলে দলটাকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। সুতরাং, মানুষ  ঠিক করে ফেলছে কি করতে হবে।


এদিন তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন, ধুপগুড়ির বিধায়ক ডক্টর নির্মল চন্দ্র রায়, আইএনটিটিইউসির জেলা কমিটির সভাপতি তপন দে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি গৌরব ঘোষ, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সন্দীপ ছেত্রীর মত নেতারা।


আরও পড়ুন,  Birbhum: 'মাংস-ভাত আর ২০০ টাকার জন্য বিজেপিকর্মীরাই যাচ্ছে তৃণমূলের মিটিংয়ে!'


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)