বরুণ সেনগুপ্ত: 'কীভাবে ৩ মাসে জামিন মূল অভিযু্ক্তের'? চরমে আতঙ্কে পানিহাটিতে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবার। 'অনুপমকে বাড়ির সামনে মেরেছিল। তাহলে আমাদেরও এবার মেরে দেবে। আমার ছেলে ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে', জি ২৪ ঘণ্টা-কে জানালেন স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার অজয় ঠাকুর। বাড়ানো হল নিরাপত্তাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যবধান সপ্তাহ খানেকের। রাজ্যে পুরভোটে ফল প্রকাশের পর খুন হন পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন তিনি।  ১৩ মার্চ, রবিবার সন্ধ্যায় পোষ্যের জন্য খাবার কিনতে গিয়েছিলেন অনুপম। বসেছিলেন বাইকের পিছনে। অভিযোগ, দোকানের সামনে তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতীরা। এরপর বাইক চড়ে চম্পট দেয় সে।  আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনুপম দত্তকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়  সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বেলঘড়িয়ার নার্সিংহোমে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।


কে খুন করল তৃণমূল কাউন্সিলরকে? দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে রাতভর অভিযান চালায় পুলিস। আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত ওরফে প্রসেনজিৎ। সোমবার জামিন পান তিনি। রাতে পানিহাটিতে পুলিসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে বিটি রোডে। এমনকী, ঘরের দরজা বন্ধ করে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেন নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী! খবর পেয়ে তাঁকে আটকান তৃণমূলকর্মীরাই। 


আরও পড়ুন:Midnapore: পরিচয়হীন বলে ভর্তি নিল না হাসপাতাল! মেদিনীপুরে বেঘোরে মৃত্যু পথচারীর


উপনির্বাচনে জিতে এখন পানিহাটির পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের অনুপমে স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। এদিন নিজের বাড়িতে বসে ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'এক ছোট বাচ্চা,যে চাবি না পেলে ঘরের দৌড়য়। বলে ওপরে ওঠে কেউ আমাদের মেরে দেবে। এর থেক কষ্টের আর কী হতে পারে আমাদের জীবনে? ওরা তো হীনমন্যতায় ভুগছে যে ওপরে ওঠে কেউ মেরে দেবে। এই জায়গায় ওদের বাবা যারা হত্য়া করল, তারা ছাড়া পেয়ে গেল'! জানালেন, 'যখন থেকে শুনেছে, ঘরে মধ্য়ে দৌড়াদৌড়ি করছে যে, আমরাও বাঁচব না। আমাদেরও কেউ মেরে দেবে এভাবেই। কারণ কেউ কাউকে মেরে  দিয়ে যদি ৩ মাসে জামিন পেয়ে যায়, তাহলে কাল বাদ পরশু আমাদেরও মেরে দেব, জামিন পেয়ে তাঁরা রাস্তায় ঘুরবে। তার থেকে আমরা নিজেরাই শেষ হয়ে যায়। কাউকে মারতে হবে না'।



এদিন নিহত তৃণমূল কাউন্সিলের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার অজয় ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, 'অভিযুক্তেরা যাতে জামিনে ছাড়া না পায়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে পুলিস'। এতদিন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন একডন পুলিসকর্মী। এবার আরও একজনকে নিয়োগ করা হল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)