নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA)-এর তদন্তে ফাঁস বাংলা ও কেরলে আল-কায়দার মডিউল। জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও কেরলের এর্নাকুলামের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৯ আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে NIA। ধৃতদের মধ্য়েই একজন নাজমুশ সাকিব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সী নাজমুশ সাকিব ডোমকল বসন্তপুর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এদিন ভোর রাতে ডোমকলের গঙ্গাদাস পাড়ার বাসিন্দা নাজমুশ সাকিবের বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ-এর একটি প্রতিনিধি দল। দরজা খুলে দেয় নাজমু সাকিবের বাবা।  এনআইএ টিমের কাছে অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন ছিল। সেই মেশিন দিয়ে নাজমুশের মোবাইল চেক করেন তদন্তকারী অফিসাররা। পরিবারের কাছে জানতে চান, নাজমুশ কোথায়? সেইসময় বাড়িতে ছিল নাজমুশ। বাড়ি থেকে নাজমুশকে গ্রেফতার করে এনআইএ গোয়েন্দারা।


নাজমুশকে গ্রেফতারের পর পুরো বাড়ি তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলায় লেখা বেশকিছু ধর্মীয় গ্রন্থ। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি  এনআইএ আধিকারিকরা নাজমুশের দাদার ল্যাপটপটিও বাজেয়াপ্ত করেছেন। নাজমুশের মা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন  না যে, ছেলে আল-কায়দা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে ছেলের যোগাযোগ ছিল। তাঁর কথায়, 'ছেলে ধর্ম নিয়ে বেশি থাকত।' পাশাপাশি এঘটনায় হতবাক এলাকাবাসীও। এরকম কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে পাড়ার ছেলে নাজমুশের যোগাযোগ থাকতে পারে, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁরা।



ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে আরেকজন হল লিউ ইয়ান আহমেদ। বয়স ৩৫ বছর। ধৃত লিউ ইয়ান আহমেদও ডোমকলের বাসিন্দা। জোমকলের জয়রামপুরে বাড়ি ধৃত জঙ্গির। ৩৫ বছর বয়সী লিউ ইয়ান আহমেদ পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।


আরও পড়ুন, 'আপনি মুখ খুললেই ৫০ হাজার ভোট কেটে যায়, পিকে বলেছেন একদম চুপ', মমতাকে কটাক্ষ তথাগতর