নিজস্ব প্রতিবেদন: মালদায় ব্রিজ বিপর্যয়ের  ধাক্কা সামলাতে হিমশিম ফরাক্কায়। কাল নির্মীয়মাণ সেতুর গার্ডার ধসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের, ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কাল অবধি জানা গিয়েছিল মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের যদিও পুলিস এ বিষয়ে কিছু জানাননি। রাতের পর  সকালেও জোর কদমে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপে তল্লাসি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ ফরাক্কা ব্রিজের গার্ডার, মৃত ৩, আশঙ্কাজনক ৫ শ্রমিক


ফরাক্কাকাণ্ডের দায় কার? এই নিয়ে তুঙ্গে তরজা। NHAIর  প্রকল্পে অঘটনে  নির্মাণ-সংস্থার গলদকেই দুষছেন স্থানীয়রা। শাস্তির দাবিতে সরব কংগ্রেস তৃণমূল বিজেপি। PMOর নির্দেশে পরিদর্শনে যাচ্ছেন সাংসদ খগেন মুর্মূ। রবিবার রাত্রে ফারাক্কার নির্মীয়মান সেতু ভেঙে পড়ার পরই প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় খগেন মুর্মুকে। ঘটনায় ইতিমধ্য়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দুর্ঘটনায় তদন্তরে দাবি করেছেন অধীর চৌধুরি।


প্রাথমিক ভাবে মানে করা হচ্ছে গার্ডার তোলার সময় ভারসাম্যের সমস্যা হয় এবং ভারসাম্যের সমস্যা যে হতে পারে তা আগাম ভাবা হয়নি। এমনকী দিনের আলোয় কাজের যে সুবিধা না নিয়ে গার্ডার তোলার মত কাজটি রাত্রে করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে, নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও।  দুর্ঘটনার পরে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠছে তা হল মানা হয়নি সুরক্ষার নিয়মকানুন। গার্ডার তোলার সময় অস্বাভাবিক একটি  শব্দ হয়। সেই সময়  সুরক্ষার তোয়াক্কা না করে গার্ডারের নীচে চলে যান কর্মীরা। ফেল চাপা পড়ার ঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন:হুগলির শিয়াখালায় পথদুর্ঘটনা, নিহত বারাসতের তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ২


গঙ্গার উপরে মালদহ-ফরাক্কা সংযোগকারী একটি দ্বিতীয় সেতু তৈরির উদ্যোগী হন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দেড় বছর আগে সেই মতো এই সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। এ দিন বিকেল থেকে সেতুর একটি অংশের কাজ চলছিল। সেতুর নীচে কাজ করছিলেন প্রায় ২০ জন শ্রমিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা প্রথম ও দ্বিতীয় স্তম্ভের উপরের অংশটি ভেঙে পড়ে। ঘটনার রাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রোজেক্ট ম্যানেজার শ্রীনিবাস ও ট্রেনি ইঞ্জিনিয়র সচীন প্রতাপ। দেড় বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়ল সেতুটি।