Malbazar: হাতির `হাত` থেকে ফসল বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ধানক্ষেতে রাতপাহারা...
Malbazar: জমিতে ধান পাকতে শুরু করেছে। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতির হানাও। হাতির হানা থেকে ধানক্ষেত বাঁচাতে অস্থায়ী আস্তানা বানিয়ে রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও পেটের তাগিদেই তাঁরা রাতভর অস্থায়ী ওই আস্তানায় আশ্রয় নিয়ে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জমিতে ধান পাকতে শুরু করেছে। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাতির হানাও। হাতির হানা থেকে ধানক্ষেত বাঁচাতে অস্থায়ী আস্তানা বানিয়ে রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও পেটের তাগিদেই তাঁরা রাতভর অস্থায়ী ওই আস্তানায় আশ্রয় নিয়ে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। মেটেলি ব্লকের গরুমারা জঙ্গল-সংলগ্ন মূর্তি বনবস্তি এলাকায় গেলেই দেখা যাবে ওই ছবি।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: বাংলার মাটি লড়ছে চিনের আলোর সঙ্গে! কালীপুজোর অমাবস্যায় কি ফুটবে নতুন আলো?
এখন সন্ধ্যার পরেই ধানের লোভে ওই এলাকার ধান খেতে হানা দিচ্ছে হাতি। নষ্ট করছে ধানক্ষেত। হাতির হাত থেকে ধানক্ষেত বাঁচাতেই এই রাতপাহারার ব্যবস্থা বলে কৃষকেরা জানান। ওই এলাকায় বন দফতরের তরফে বৈদ্যুতিক তারের ফেন্সিং ও ওয়াচটাওয়ার থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই তা অকেজো। ফলে অনায়াসেই হাতি চলে আসছে ধানক্ষেতে। কথাপ্রসঙ্গে, এলাকার কৃষকেরা বলেন, সন্ধের পরেই হাতির দল চলে আসছে ধানক্ষেতে। ধানক্ষেত বাঁচাতে তাই রাতভর ওই আস্তানায় থেকে ক্ষেত পাহারা দিতে হচ্ছে।
এতে জীবনের ঝুঁকি থাকলেও কিছু করার নেই। ধান তো ঘরে তুলতে হবে। এইভাবে ক্ষেত পাহারা না দিলে খেত থেকে ধান ঘরে তোলা যাবে না। তাই রাতভর এইভাবে আমাদের ক্ষেত পাহারা দিতে হচ্ছে। যদিও খুনিয়া স্কোয়াডের তরফে জানানো হয়েছে, কোথাও হাতি ঢোকার খবর পেলেই আমরা এলাকায় গিয়ে হাতে তাড়ানোর চেষ্টা করি।
ইদানীং ধানক্ষেতে হাতি ও বিভিন্ন পাখির উৎপাত বাড়ছে। হাতি ও পাখির হানা থেকে রেহাই পেতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন কৃষকরা। কী এই পদ্ধতি? চাষের জমির চারিদিকে তার টাঙিয়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে প্লাস্টিক। হাতি ফসল খেতে প্রবেশ করতে চাইলেই তারের সঙ্গে ঘষা লেগে আওয়াজ হচ্ছে। এর ফলে থমকে যাচ্ছে পাখি তো বটেই, কখনও কখনও হাতিও।
রাতে প্লাস্টিকের ওই আওয়াজ কৃষকদের কাছে অ্যালার্ম হিসেবে কাজ করছে। চাষের জমির কাছে আসার পর হাতির শরীরের সঙ্গে জমি ঘিরে থাকা তারের স্পর্শ হলেই আওয়াজ হচ্ছে, যা শুনতে পাচ্ছেন ক্ষেতের পাহারাদার। এতেই তাঁরা সতর্ক হয়ে সার্চ লাইট জালিয়ে বা পটকা ফাটিয়ে হাতির দলকে তাড়িয়ে দিতে পারছেন।
আরও পড়ুন: Hili: কাঁটাতারের বন্ধনের মধ্যেই কালীপুজোর মুক্তি! সম্প্রীতিতে উজ্জ্বল ঘোর অমানিশা...
রাতে এইভাবে হাতির হাত থেকে ধানক্ষেত রক্ষার পাশাপাশি দিনের বেলাতেও প্লাস্টিক হাওয়ায় নড়ে ওঠার ফলে পাখিরা ক্ষেতে আসতে ভয় পাচ্ছে। কোথাও আবার ধানক্ষেতের মাঝে টাঙানো হয়েছে লালকাপড়। অভিনব এই সব পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে হাতির হানা থেকে ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে অনেকটাই সাফল্য এসেছে বলে মত স্থানীয় বাসিন্দাদের।