নিজস্ব প্রতিবেদন : হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। তারমধ্যেই বোলপুরে প্রস্তাবিত গীতবিতান সিটিতে মেলার উদ্বোধন আজ। স্থানীয় বিধায়ক তথা মত্স্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার সেই মেলার উদ্বোধন করার কথা। তার আগে কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। পুলিসের সঙ্গে বাঁধল ধস্তাধস্তিও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শান্তিনিকেতন থেকে অদূরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গীতবিতান সিটি। পৌষমেলার পর সেই গীতবিতান সিটিতে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ সেই মেলার উদ্বোধন। আর তার আগে চাষিদের বিক্ষোভে ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। একটাই দাবিতে সরব চাষিরা। তাঁদের দাবি, শিল্পের জন্য নেওয়া জমিতে শিল্প-ই করতে হবে। নয়তো তাদের জমি তাঁদেরকে ফেরত দিতে হবে।


আরও পড়ুন, কারখানার ভিতর যুবকের রহস্যমৃত্যু, মায়ের আচরণ নিয়ে সন্দেহ


প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বোলপুরের শিবপুর মৌজার এই ৩০০ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। বাম আমলে ২০০১ সালে শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় ওই ৩০০ একর জমি। তারপর দীর্ঘদিন ধরে পড়েইছিল ওই জমি। ক্ষমতার পালাবদলের পর জমির দাম পুনর্মূল্যায়ণ করা হয়। চাষিদের সম্মতিতেই ওখানে শিল্প হবে বলে স্থির হয়।


কিন্তু শিল্পের চাকা গড়ায়নি। এরপর বোলপুর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে শিবপুরের ওই ৩০০ একর জমিতে  গীতবিতান সিটি ও বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সরকারি এই সিদ্ধান্তের পরেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে কৃষকদের। তাঁদের দাবি, শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমিতে শিল্প-ই হোক। যাতে ভূমিপুত্রদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। আবাসন শিল্পে তাঁদের কোনও লাভ নেই।


আরও পড়ুন, এক মাস ধরে পরিকল্পনা, দোকান হাতাতেই খুন গণেশ কুণ্ডু?


ভাঙড়ের পাশাপাশি শিবপুরের জমিদাতাদের এই আন্দোলন নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে তৃণমূল সরকারের। জমি ফেরতের দাবিতে এর আগে পাঁচিল ঘেরা  জমিতে ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারীরা। ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাঁচিল। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে হোর্ডিংয়েও।