নিজস্ব প্রতিবেদন:  খড়দায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বাবার। কোলে থাকা শিশু আটকে যায় ইঞ্জিনের ক্যাটেল গার্ডে। রানাঘাটে  ইঞ্জিনের ক্যাটল গার্ড থেকে শিশুর  মরদেহ উদ্ধার।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান মেয়েকে কোলে নিয়ে ট্রেনের সামনে লাফিয়ে পড়ে আত্মঘাতী হয়েছেন খড়দার বিশ্বরুপ দে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ১৫ দিন পর গুলিতে বিদ্ধ তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাবার লড়াই শেষ


সকালে খাবার খেয়ে বাবার কোলে চেপে ঘুরতে বেরিয়েছিল ধৃতিষ্মিতা । এই সবে  ছ মাস। বাবা-মা দুজনেই বেশ শিক্ষিত। আদর করে নাম রেখেছিল ধৃতিষ্মিতা। আশা ছিল--বাবা-মার থমকে যাওয়া জীবন ছাড়িয়ে বহু দূর যাবে ধৃতিষ্মিতা। ধৃতিষ্মিতার হাত ধরেই কাটবে দে পরিবারে অনটন।  বহুদূরই গেছে ধৃতিষ্মিতা, লালগোলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনে ক্যাটেল গার্ডে আটকে যায় সে।



দ্রুতগতির লালগোলা এক্সপ্রেস  ক্যাটেল গার্ডে আটকে থাকা ধৃতিষ্মিতাকে নিয়ে যায় খড়দহ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটারও বেশি দূরে রানাঘাটে। বাবা বিশ্বরুপ দের দেহ উদ্ধার হয়েছে খড়দা স্টেশনের কাছে। খড়দহে বিশ্বরুপের দেহ উদ্ধারের পর মেয়ের খোঁজ শুরু হয়। পরে রানাঘাট থেকে লালগোলা এক্সপ্রেসের   ক্যাটেল গার্ডে আটকে থাকা ধৃতষ্মিতার দেহ উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন: আমার ধর্ম নিয়ে ভেবো না, কাজটা দেখো: কলকাতার মেয়র হয়েই আত্মবিশ্বাসী ফিরহাদ


স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে  আত্মঘাতী হয়েছেন বিশ্বরুপ দে।  বিশ্বরুপ এলাকায় টিউশনি করে সংসার চালাতেন।  ঘরে কোনও অশান্তি ছিল না। সদভাব ছিল পড়শিদের সঙ্গে। তবে আর্থিক অনটন ছিল। অসাবধনাতায় দুর্ঘটনা না আত্মহত্যা খতিয়ে দেখছে পুলিস।