ঝগড়ার সময় বন্দুক বের করে ছেলেকে গুলি রগচটা বাবার! আসানসোলে কিশোর খুনে পর্দাফাঁস
ছেলেকে প্রাইভেট টিউশনে যেতে দিত না। ছেলেকে স্কুলে যেতে দিত না। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও দিত না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একটুতেই বাবার মাথা গরম হয়ে যায়। এলাকায় পরিচিতি রগচটা নামে। ছেলের সঙ্গে বিবাদের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাবা-ই বন্দুক বের করে গুলি করে। খুন করে ১২ বছরের কিশোর পুত্রকে। আসানসোলে মাতৃহারা কিশোর স্মরণজিৎ সিং খুনের ঘটনায় পর্দাফাঁস হল খুনির। ছেলেকে খুনের দায়ে বাবা ভূপেন্দর সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যেই উদ্ধার হয় কিশোর স্মরণজিতের রক্তাক্ত দেহ। ছেলেকে খুনের পর নিজেকে আড়াল করতে বিভিন্ন গল্প ফাঁদে ভূপেন্দর। কেউ বাইরে থেকে এসে গুলি করে ছেলেকে খুন করেছে বলে দাবি করে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিসের সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে বাবা ভূপেন্দরের উপর। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিস। পুলিসি জেরার মুখে বার বার বয়ান বদল করতে থাকে সে। বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়তেই পুলিসের সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ তাকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলের সঙ্গে প্রায়ই বিভিন্ন ব্যাপারে অশান্তি হত ভূপেন্দরের। ছেলেকে প্রাইভেট টিউশনে যেতে দিত না। ছেলেকে স্কুলে যেতে দিত না। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও দিত না। এরফলে ছেলের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা বাঁধত বাবার। পাড়ার লোকের সঙ্গে কথা বলে পুলিস আরও জানতে পারে, স্মরণজিৎ খুন হওয়ার আগে বাড়িতে বাপ-বেটার মধ্যে প্রচুর অশান্তি হয়। রগচটা বলে পরিচিত ভুপেন্দরের সঙ্গে এলাকার বহু মানুষেরও এর আগে ঝামেলা বেঁধেছে।
শেষে ছেলের সঙ্গে বিবাদের সময়ই বন্দুক বের করে ছেলেকে গুলি করে খুন করে ভূপেন্দর। যদিও খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি এখনও পুলিস উদ্ধার করতে পারেনি। আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।
আরও পড়ুন, পঙ্গপাল আতঙ্ক এবার ঝাড়গ্রামে! বিঘের পর বিঘে ফসল সাবাড় পতঙ্গদলের