নিজস্ব প্রতিবেদন : ছেলে স্নায়ুরোগে আক্রান্ত। স্ত্রীর আগেই মৃত্যু হয়েছে। অভাবের সংসারে নিত্য টানাটানি। এসবের ফলেই বহুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বাবা। শেষপর্যন্ত ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যার চরম পথ বেছে নিলেন তিনি। শনিবার সকালে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল বাবা ও ছেলে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর ও আগরপাড়া স্টেশনের মাঝে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, মোবাইলের স্ত্রিন ভরে উঠল 'রক্তে'! ভয়ঙ্কর গ্র্যানির খপ্পরে ৩ ছাত্র


পানিহাটির গান্ধীনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন শ্যামল দাস। তাঁরই ছেলে দীপ দাস। এদিন সকালে সোদপুর ও আগরপাড়ার মাঝে ৬ নম্বর রেলগেটের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন দুজনে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জন্মের পর থেকেই স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছেলে দীপ। এমনকি দীপের মা অর্থাত্ শ্যামল দাসের স্ত্রী-ও স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিল। দীপের জন্মের পরই আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। দীপের ৪ মাস বয়সের সময়ই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকতেন শ্যামল দাস।


আরও পড়ুন, রাতে ঘরে ঢুকেই স্বামী দেখেন, প্রেমিকের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠভাবে' শুয়ে স্ত্রী, তারপর...


দীপের বয়স হয়েছিল ১১ বছর। এই ১১ বছরের দীপের বহু চিকিত্সা করানো হয়েছে। চিকিত্‍সা করাতে গিয়ে শেষ হয়েছে ব্যাঙ্ক ব্যালান্স। বন্ধক রাখতে হয়েছে গয়নাগাটি সবই। কিন্তু, রোগ সারেনি। এদিকে, আর্থিক টানাপোড়েনে আর চিকিত্সার ব্যয়ভারও বইতে পারছিলেন না শ্যামল দাস। একদিকে স্ত্রীর মৃত্যু, অন্যদিকে ছেলের অসুখ, তার উপর অর্থাভাব। সব মিলিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই মনমরা হয়ে থাকতেন শ্যামল। এরপরই শনিবার সকালে ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।


আরও পড়ুন, অন্ধকারে চিক চিক করছিল! আলো জ্বালতেই হাড়হিম হয়ে গেল অমলবাবুর


শনিবার সকালে আচমকাই কাউকে কিছু না জানিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বাড়ির সামনেই রেল লাইন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেন আসতে দেখেই তার সামনে ছেলেকে নিয়ে লাফ মারেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।