নিজস্ব প্রতিবেদন: বউমার কন্যাদান দিলেন শ্বশুরমশাই। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের বাড়জিশুয়া গ্রামের। শুধু বিয়ে দেওয়া নয়, বউমার বউভাতের যাবতীয় খরচও বহন করেছেন মুকুন্দ মাইতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুকুন্দ মাইতির ছেলে অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল উমার। মহীশূরে এক গয়নার দোকানের কর্মচারী অমিত বিয়ের কয়েকদিন পর নববধূকে গ্রামের বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে ফিরে যান। গত বছর ডিসেম্বরে সেখান থেকে ফেরার সময় ট্রেনে অসুস্থ পড়েন তিনি। ভুবনেশ্বরে ট্রেন থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অমিতের মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। তবে একমাত্র ছেলেকে হারিয়েও কাণ্ডজ্ঞান হারাননি মুকুন্দবাবু। মাত্র ১৯ বছর বয়সী বউমার ফের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রের খোঁজ শুরু করেন নিজেই। 



অবশেষে খোঁজ পান পাঁশকুড়ার শ্যমসুন্দরপুর পটনা এলাকার বাসিন্দা স্বপন মাইতির। সব কথা জেনে উমাকে বিয়ে করতে রাজি হন তিনি। সোমবার পাঁশকুড়া কালী মন্দিকে শ্বশুরমশাইয়ের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয় বিয়ে। মুকুন্দবাবুর এই উদ্যোগে কিছুটা হলেও অবাক উমার বাপের বাড়িল লোকেরাও। 


শুধু বউমার বিয়ে দেওয়াই নয়, আয়োজন ছিল দেদার ভোজেরও। পাতে ছিল মাছ, মাংস, চিংড়ি পোস্ত থেকে দই-মিষ্টি সবই। 


মনিরুলকে বিজেপিতে যোগদান করানোর জন্য দলীয় নেতাদের কাছে ভুল স্বীকার করলেন মুকুল রায়


সব মিটলে মুকুন্দবাবু বলেন, 'ওর সামনে একটা গোটা জীবন পড়ে। এতটুকু মেয়ের ওপর আমি এত ভারী শোকের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারি না। তাই কষ্ট হলেও আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি'। সঙ্গে তিনি বলেন, 'মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা সরকারি প্রকল্প ঘোষণা হলেও কাজের কাজ হয় না। মেয়েরা পিছিয়েই আছে।'