ওয়েব ডেস্ক: খোয়াইয়ের খোয়া যাওয়া ঐতিহ্য ফেরানোর লড়াই। ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। খোয়াইকে সভ্যতার কলরব থেকে মুক্তি দিতে, এবার উদ্যোগী বন দফতর। শুরু, একে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খোয়াই মানেই নস্টালজিয়া। কিন্তু পুরনো খোয়াইকে যেন আর চেনা যায় না আজকাল। শুধুই বিপণনের বাজার সেখানে। মুখ ঢাকা কংক্রিটের জঙ্গলে। আমরাই তুলে ধরি এ খবর। দেখিয়েছিলাম, সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে খোয়াইজুড়ে একের পর এক হোটেল-রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে। শুরু হয় সবুজ রক্ষার লড়াই, প্রকৃতিকে বাঁচানোর ডাক। 


২৪ ঘণ্টার খবরের জের। খোয়াই নিয়ে এবার উদ্যোগী বন দফতর। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলিতে যাওয়ার পথই এবার কেটে দেওয়া হয়েছে। তাদের জায়গার ওপর দিয়ে কোনও গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না, জানিয়েছে বন দফতর। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলি বন দফতরের জায়গা দখল করে যে বসা বা খাওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তোলে, তাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। নিজেদের জায়গা ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনদফতর। 


'হাট বসেছে শুক্রবারে'। কবির এই লাইন খোয়াইয়ের ক্ষেত্রে একেবারেই খাটে না। আগে এখানে হাট বসত শনি-রবিবার। আর এখন! সপ্তাহে সাত দিনই হাট বসে। চিত্‍কার-চেঁচামেচি ইদানিং কান-সওয়া হয়ে গিয়েছে এখানে। এ যেন, অচেনা খোয়াই। অসীম নিস্তব্ধতা। প্রকৃতির সঙ্গে মুখোমুখি দাঁড়ানোর সুযোগ। খোয়াইয়ের এই পরিচিতিই মুছে যাওয়ার জোগাড়। তবে সময় এবার, ঘুরে দাঁড়ানোর।  মৃতপ্রায় খোয়াইকে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে লড়াই। শুরুটা হয়েছে। শেষ কতদিনে হয়, সময়ই বলবে।