অবশেষে বাংলার দুয়ারে ইলিশের ঝাঁক! ভাপা বা ঝোল, রেডি তো?
এ বছরের শুরু থেকেই ইলিশ মাছের ঘাটতি ছিল রাজ্যের বাজারগুলিতে। এর মূল কারণ ছিল প্রতিকূল আবহাওয়া। এর ফলে বহুবার মাঝ সমুদ্র থেকে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিম্ন চাপের দুর্যোগে কাটিয়ে মৎস্যজীবীরা কিছুটা হলেও ইলিশ পেল এবার। দুর্যোগের পর গত দুই দিনে ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়তে অবসেশে ঢুকলো প্রায় ৫০ টন ইলিশ। মরশুমের শুরু থেকেই মৎস্যজীবীদের জালে সেভাবে ইলিশ না পড়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। তবে অবশেষে দুর্যোগের পরে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে সমুদ্রের রুপোলি শস্য। গত দু'দিনে ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়তে প্রায় ৫০ টন ইলিশ ঢুকেছে এমনটাই জানালেন আড়তদারেরা। তবে তা পর্যাপ্ত পরিমান ইলিশ নয় ফলে দাম কমছে না ইলিশের। আকাশছোঁয়া ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের কেনার নাগালের বাইরে। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন আবহাওয়া অনুকূল থাকলে হয়তো এবার মৎস্যজীবীদের জালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে। তখনই কিছুটা কমতে পারে ইলিশের দাম।
এ বছরের শুরু থেকেই ইলিশ মাছের ঘাটতি ছিল রাজ্যের বাজারগুলিতে। এর মূল কারণ ছিল প্রতিকূল আবহাওয়া। এর ফলে বহুবার মাঝ সমুদ্র থেকে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
এই ইলিশ বাজারে আসায় মাছের দাম কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫০০ গ্রাম ইলিশের দাম প্রায় ৬০০ টাকা প্রতি কেজি। এক কেজি অথবা তার বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রায় হাজার টাকা প্রতি কেজি।
আরও পড়ুন: Cow Smuggling: বসছে দরবার, জেলেই পঞ্চায়েত ভোটের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছেন অনুব্রত!
স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরে কার্যত ইলিশের খরা চলছিল বাজারে। ফলত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছিল তাদেরকে। ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন ট্রলারের মালিকরা। ক্ষতি এড়াতে অনেকেই মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। যদিও এবার খরা কেটেছে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীরা বলছেন 'ঝাঁকে র ইলিশ’ বলতে যা বোঝা যায় তা তিনবছর পর এই মরশুমে এবার প্রথম এসেছে।