নিজস্ব প্রতিবেদন:  মেয়ে ছোটোবেলা থেকেই  মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারায়। সে কথা জানেন মা। বাড়িতে থাকলে কিছু টোটকা ব্যবহার করেন।  মেয়ে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও অজ্ঞান হয়ে যায়। টোটকা  হাসপাতালে মেয়ের ওপর প্রয়োগ করতে গিয়েই বিপত্তি। অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে ঝলসে গেল মেয়ের মুখ ও শরীরের কিছু অংশ। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: কোন পথে রথযাত্রা? আজ প্রশাসন-বিজেপি বৈঠক লালবাজারে


পেটে ব্যথা নিয়ে কেতুগ্রামের উদ্ধারণপুর গ্রামের  একাদশ শ্রেণির  পড়ুয়া  মঙ্গলবার  কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি  হয়।   পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী ছোটোবেলা থেকে  মাঝেমধ্যেই  জ্ঞান হারায়।  হাসপাতালে তাঁর পেটে ব্যাথার চিকিত্সা চলছিল।  বৃহস্পতিবার সকালে অক্সিজেন চলার সময়  কিশোরী ফের  জ্ঞান হারায়।


আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের আগেই উত্তপ্ত পুরুলিয়া, ‘অপহৃত’ বিজেপিনেতা সহ ৫


বাড়িতে মেয়ে  জ্ঞান হারালে, মা  কাপড় পুড়িয়ে গন্ধ শোঁকাতেন। হাসপাতালেও তাই করেন। কিন্তু আগুন কোথা থেকে পাবেন? মা স্বপ্না মজুমদার তাই বাইরে থেকে  কাপড় পুড়িয়ে  মেয়েকে গন্ধ শোঁকাতে গিয়েছিলেন। পাশেই ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। তা থেকে আচমকাই আগুন লেগে যায়। আগুন থেকে কিশোরীর  মুখ সহ শরীরের বেশ  কিছু অংশ  পুড়ে গিয়েছে।  এদিকে ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মহিলা ওয়ার্ডের অন্যান্য রোগীরা। তবে নার্স ও হাসপাতাল কর্মীদের তত্পরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।


আরও পড়ুন: মালবাজারে বেলাইনি যাত্রীবাহী ট্রেনের কামরা, বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা


 এপ্রসঙ্গে  হাসপাতালের সুপার বলেন, “বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে হাসপাতাল  বেঁচে গেল।  রোগীর পরিজনের বিরুদ্ধে পুলিশে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”  কর্তব্যরত চিকিত্সক  জানান,  জ্ঞান ফেরাতে আগুনে  পোড়ানো  কাপড় দিয়ে কোন কাজ হয় না। মানুষ এখনও অন্ধবিশ্বাসী।