Patharpratima: আতঙ্ক! বাঁধ ভেঙে সমুদ্রজলে প্লাবিত হয়ে গেল বিস্তীর্ণ এলাকা...
Flooded Gobardhanpur: সমুদ্রবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর গ্রাম। পূর্ণিমার ভরা কোটালে গত দুদিন ধরেই নোনা জল ঢুকেছে গ্রামে। পরে ভাঙা বাঁধ দিয়ে নোনা জল ঢুকে পড়ে গ্রামের ভেতরে।
নকীব উদ্দিন গাজী: সমুদ্রের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে গেল পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর গ্রাম। পূর্ণিমার ভরা কোটালে গত দুদিন ধরেই নোনা জল ঢুকেছে গ্রামে। পরে ভাঙা বাঁধ দিয়ে বিপুল পরিমাণ নোনা জল গ্রামের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
আরও পড়ুন: Potato Price Hike: কোথাও দাম ৫০-এর ঘরে, কোথাও তীব্র হাহাকার! আলু অচিরেই কি বেপাত্তা হবে বাজার থেকে?
এই ঘটনার জেরে কয়েকশো বিঘা জমি নোনা জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জমিতে আর আমন ধানের চাষ করা যাবে না। এছাড়াও এই গ্রামের সব পুকুরে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে। যা জেরে অনেক ক্ষেত্রেই মাছ মারা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি পরিবার উঁচু জমিতে সবজিচাষ করেছিল। সেই চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এই গ্রামের বহু বাড়িও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমান গোবর্ধনপুর গ্রামের বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পেরেছেন। জানা গিয়েছে, গোবর্ধনপুর গ্রামের প্রায় ১০০টি পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছে।
গোবর্ধনপুরের দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর। সেই কারণে এই এলাকায় ঢেউয়ের দাপট বরাবরই একটু বেশি হয়। এবারও হয়েছে। সমুদ্রের তীরে যে কংক্রিটের বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল, তার সামনে কোনও চর ছিল না। এর মানে, বাঁধের সামনেই ছিল সমুদ্র, আর বাঁধের সোজাসুজিই ছিল সমুদ্রের গভীরতা। সেই কারণে সমুদ্রের ঢেউ এসে সরাসরি বাঁধের উপরেই ঝাপটা মারত। চর থাকলে জল চরে ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে জলপ্রবাহের শক্তি কমে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা হতে পারে না।
গোবর্ধনপুর ইদানীং ভ্রমণ-সার্কিটে খুব পরিচিত একটি নাম। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে অনেকেই এখানে এখন বেড়াতে যাচ্ছেন। পরিকাঠামো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। প্রকৃতি ও পরিবেশ এখানে এখনও কিছুটা আদিম। হয়তো, সেই কারণেই জায়গাটার একটা আকর্ষণ রয়ে গিয়েছে। তবে এভাবে বারবার প্লাবিত হয়ে গেলে আগামী দিনে স্পটটিকে কীভাবে রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত সংশ্লিষ্ট মহল।