নিজস্ব প্রতিবেদন:  রানাঘাটের দুই নম্বর ব্লক। এই ব্লকের ধানতলা, পূর্ণনগর, চাপরা,নোকাড়ি,আইসমালি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ফুল চাষ হয়। সারা বছর ধরে এই অঞ্চলে মরসুমি ফুলের চায হয় গাঁদা ,রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিউলাস ,গোলাপ সহ একাধিক ফুল চাষ হয়ে থাকে।  ফুলচাষ এবং ফুল সংক্রান্ত অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার মানুষ। সারা বছর এই জায়গায় থাকে চরম ব্যস্ততা। জমি থেকে ফুল তোলা , জমির পাশেই  বাজার , সেখানে চলে ফুল বেচাকেনা । আবার ট্রাকে বা ট্রেনে করে বিভিন্ন জেলা সহ ভিনরাজ্যে ফুল পাঠানোর তদারকি । এই ব্লক থেকে বিদেশেও ফুল রফতানি করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীসের ভিত্তিতে কলকাতা-সহ রাজ্যের ৪ জেলাকে হটস্পট নির্ধারণ? এবার তথ্য দিয়ে স্পষ্ট করল কেন্দ্র
 লকডাউনের জেরে রানাঘাটের দুই নম্বর ব্লকের চিত্রটা পুরো বদলে গেছে। মাথায় হাত ফুলচাষি থেকে ফুল ব্যবসায়ীদের। ফুলচাষি রানা মন্ডল জানান,  লকডাউনের জন্য ফুল বিক্রি একদম বন্ধ হয়ে  গেছে। একরের পর একর জমির ফুল গাছেই ঝরে যাচ্ছে কিংবা তুলে জমিতেই ফেলে দিতে হচ্ছে। কিন্তু গাছকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সার এবং জল দিতে হচ্ছে । সেখানে পরিশ্রম আর টাকা খরচ হচ্ছে । এদিকে ফুল বিক্রি একদম বন্ধ। যার ফলে এই খরচ আর চালাতে পাচ্ছি না । আর চলছে না । পরিবার নিয়ে না খেতে পেয়ে মরে যাব।"



একই অবস্থা ফুল ব্যবসায়ীদের । চাষিদের থেকে ফুল কিনে  বিভিন্ন  জেলা এবং ভিন রাজ্যে ফুল পাঠান ব্যবসায়ীরা। ফুলচাষিরা এদের টাকায় চাষ করে তারপর চুক্তি মত আর্থিক লেনদেন হয়। লকডাউনে আরও খারাপ অবস্থা ফুল ব্যবসায়ীদের। ঘরের  টাকা ফুল চাষে লগ্নি হয়ে গেছে। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে ।
  কেন্দ্রীয় সরকার কুড়ি তারিখের পর কৃষিপণ্যে ছাড় ঘোষনা করলেও খুশি নন ফুল চাষি কিংবা ফুল ব্যবসায়ীরা । কারণ তাঁদের দাবি ,  সরকার  মানবিকতার সঙ্গে  আর্থিক ক্ষতির দিকটা বিবেচনা করুক । এই দাবি নিয়ে ফুল চাষি এবং ব্যবসায়ীরা রানাঘাট উত্তর পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার প্রতিশ্রুতি দেন ।