নিজস্ব প্রতিবেদন : নিমতার দক্ষিণ প্রতাপগড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বিশেষভাবে সক্ষম মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনাস্থল ঘুরে দেখল ফরেনসিক দল। এদিন এসএফএসএল-এর ৩ জন প্রতিনিধির একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে পোড়া বাড়ির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন তাঁরা। সেইসঙ্গে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দলটি। এক বিশেষজ্ঞ জানান, তাঁরা যে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট হাতে আসার পরই আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে বিশদে জানা যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার গভীর রাতে আগুন ধরে যায় বাড়িটিতে। সেইসময় মা ও মেয়ে দুজনেই ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁদের দু'জনের কেউ-ই চোখে দেখতে পেতেন না। এদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ঘুমের মধ্যেই অগ্নিদদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মা স্মৃতি দাশগুপ্ত ও তাঁর বড় মেয়ে কল্যাণী দাশগুপ্তর। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। 


যদিও  দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন স্মৃতি দেবীর ছোট মেয়ে সাথী দাশগুপ্ত ঘোষ ও তাঁর মেয়ে। সাথী দেবী জানিয়েছেন, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে। তিনি মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু চোখে দেখতে পান না বলে মা ও বড় দিদিকে বাঁচাতে পারেননি। 


তাঁর অভিযোগ, এলাকার দুটি পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তাঁরাই একাজ করেছেন। এর আগেও তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এবার আগুন লাগিয়ে তাঁর মা ও দিদিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাথী দাশগুপ্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন, এবার জ্বলছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া জঙ্গল, জ্বলন্ত 'আগ্নেয়গিরি'কে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে দমকল