নিজস্ব প্রতিবেদন: হাতির  পায়ের চাপে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল পা। চলাফেরা করার আর কোনও সম্ভাবনাও ছিল না। অত্যাধুনিক চিকিত্সা করানো ছিল তাঁদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। যে পরিবারের দুবেলা দুমুঠো অন্ন সংস্থানই বড় চ্যালেঞ্জ, সেই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার অপারেশন করাটা যেন বিলাসিতার সামিল। বাড়ির কর্তার এই পরিণতিতে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন মালবাজারের শান্তি কলোনির বাসিন্দা সইদুল হকের পরিবার। কিন্তু তাঁর পায়ের অপারেশন হল।  কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে তাঁর পায়ে তিন বার অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন সইদুল হক। তাঁর চিকিত্সার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছিল বন দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: চোলাইয়ে কড়া রাজ্য, এবার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও


 গত ৫ মাস আগে মালবাজার মহকুমার শান্তি কলোনিতে রাতে দলছুট একটি দাঁতাল তাণ্ডব চালিয়েছিল। গ্রামের একাধিক বাড়িঘর ভেঙেছিল। হাতির হানায়  গুরুতর আহত হয়েছিলেন সইদুল হক।


মালবাজার বন দফতরের চেষ্টায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন তিনি। বন দফতর তড়িঘড়ি সৈদুলকে প্রথমে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল ভর্তি  করায়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।  সেখানে অস্ত্রপ্রচার করা হয় তাঁর পায়ে। কিন্তু তাঁর পা ঠিক হয় না।  মালবাজারের বন দফতরের রেঞ্জার সমীর সিকদারের চেষ্টায় সইদুলকে কলকাতার এনআরএসে ভর্তি করা হয়।  ডান পায়ে তিন বার অস্ত্রোপচারের  পর বর্তমানে ভাল রয়েছেন সইদুল হক।


আরও পড়ুন: চলছে অভিযান, একের পর এক চোলাইয়ের ঠেক ভাঙল পুলিস


মালবাজারের এক বনকর্মী নিতাই বিশ্বাস বলেন, “আমাদের রেঞ্জার সমীর সিকদার যথেষ্ট করেছেন। প্রায় ৫ মাস এনআরএসে ছিলেন সইদুল। রোগীর থাকা, খাওয়ার সব খরচ বহন করেছে মালবাজার বন দফতর।” বৃহস্পতিবার সইদুল হককে কলকাতা থেকে ট্রেনে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন মালবাজারের বন কর্মীরা। বর্তমানে অনেক সুস্থ তিনি।