অঞ্জন রায়: এক সময় তাঁকে তৃণমূলের ‘চাণক্য’ বলা হতো। বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন ছিল তাঁর হাতের মুঠোয়! তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যতই থাক, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সম্রাজ্য ভাঙতে এই ‘চাণক্য’ই ছিল বিজেপির কাছে তুরুপের তাস! ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ হঠাত্ ভিড়ে যায় গেরুয়া শিবিরে। এরপরই লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গে ২টির বদলে ফোটে ১৮টি পদ্মফুল। এর কৃতীত্ব কার? এ নিয়ে শুধু রাজনৈতিক মহলে নয়, বিজেপির অন্দরে বিভিন্ন শিবিরের মধ্যে বহু চর্চা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সামনে পুরভোট। একুশে বিধানসভা নির্বাচন। নীচু স্তরে সংগঠন মজবুতে একেবারে কর্পোরেট স্টাইলে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বাংলায় মমতাকে টক্কর নিতে বিজেপির যে কালঘাম ছুটবে একথা বিলক্ষণ জানেন বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। রবিবার কলকাতায় এসে তাই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির বৈতরণী পার করতে মুকুলই ভরসা। তিনি বলেন, “মুকুল রায়, যিনি পরিচালন কমিটির লোকসভা নির্বাচনের প্রধান ছিলন। তাঁর নেতৃত্বেই ২ থেকে ১৮টি আসন হয়েছে বিজেপির।” এই সাফল্যে মুকুলকেই কার্যত কারিগর বানিয়ে দিলেন অমিত শাহ।


আরও পড়ুন- ফাঁসির ২৪ ঘণ্টা আগে পবনের রায় সংশোধনের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট


বিজেপি অন্দরে কান পাতলে এমন কথা শোনা যেত, মুকুল দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছেন। মুকুল ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, দলের শীর্ষ নেতারা তাঁকে বহুবার চেষ্টা করেছে  কোণঠাসা করবার। তবে, প্রথম থেকেই তাঁর পাশে ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপির সাফল্যের ভাগীদার ছিলেন অনেকেই। দলের একাংশ ভাবতেন, দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই এই সাফল্য এসেছে। কেউ বা বলেন, সুব্রত চ্যাটার্জি সাধারণ সম্পাদক সংগঠন ছিলেন বলেই এই সফলতা। কিন্তু মুকুল শিবির তা মানতে নারাজ। এ দিন, খোদ বিজেপির ‘চাণক্যের’ হাতে শিলমোহর পাওয়ায় দারুণ উত্ফুল্ল মুকুল শিবির। পাশাপাশি, এ-ও স্পষ্ট হল, আগামী নির্বাচনগুলিতে মুকুলকেই প্রাধান্য দিয়ে এগোতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।