নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ আজ, সোমবার। ভোট নেওয়া হবে ৮টি আসনে। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, আসানসোল, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বর্ধমান পূর্ব, বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই দফায় যে আসনগুলিতে নির্বাচন হবে, সেগুলিতে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী লড়াই করছেন। বাংলাতেও এই দফায় একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। আসানসোলে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাবুল সুপ্রিয় (বিজেপি) ও মুনমুন সেন (তৃণমূল)। বর্ধমান-দুর্গাপুরে লড়ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। বহরমপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। কৃষ্ণনগরে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবে।


আরও পড়ুন: চতুর্থ দফায় ৭১টি আসনে ভোট, মূল আকর্ষণ বেগুসরাইয়ের কানহাইয়া


এর আগে প্রথম তিনটি দফায় পশ্চিমবঙ্গের ১০টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে লোকসভার মোট আসন ৪২টি। চতুর্থ দফার পর আরও ২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ বাকি থাকবে। পরবর্তী তিন দফায় ওই ২৪টি আসনে ভোট নেওয়া হবে।


প্রথম দু’দফায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ভোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা ছিল অধিকাংশ বুথে। তবে এই দফায় ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। মুর্শিদাবাদে ৭৪ কোম্পানি, নদিয়ায় ১৩০ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমানে ১৪০ কোম্পানি, বীরভূমে ১২৬ কোম্পানি ও আসানসোলে ৮২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া থাকছে জোড়া ক্যুইক রেসপন্স টিম। কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও কোনও গন্ডগোলের খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে চলে যাবে।


আরও পড়ুন: ভোটের ওষুধ দেওয়া শেষ, কমিশনের নজরবন্দিতে আমার বয়েই গিয়েছে : অনুব্রত


প্রতি দফাতেই নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা নজরদারি চালাচ্ছেন। প্রথম তিন দফায় কমিশনের বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কড়া নজরদারিও ছিল। তৃতীয় দফার ভোটের দিন থেকেই নজরদারি শুরু করেছেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক।


একটি সূত্রের খবর, সোমবার সকাল থেকে তিনি আটটি কেন্দ্রেই নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। বেলা ১১টা থেকেই তিনি পরিদর্শন শুরু করবেন। কপ্টারে যাবে এক কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রে।


আরও পড়ুন: কমিশনের নির্দেশে নজরবন্দি অনুব্রত, কী কী বিধিনিষেধ আরোপ হল?


এই দফায় তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে নির্বাচন কমিশন একগুচ্ছ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সেগুলি হল, অনুব্রত মণ্ডল এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলে গেলেন। তাঁর সঙ্গে এখন থেকে সবসময় থাকবেন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তাঁকে ক্যামেরায় নজরবন্দি করেও রাখা হবে।


এই সময়ের মধ্যে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। ফোন জমা রাখতে হবে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন না।


আরও পড়ুন: মমতাকে না সরালে পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও দিন আসতে পারে IS, দাবি কৈলাসের 


সোমবার শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য বুথে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে তাঁর কাছে। আর কোনও বুথে তিনি ঢুকতে পারবেন না। সোমবার দিনভর পার্টি অফিসেই থাকতে হবে অনুব্রতকে।