পুরবোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূলি পুরপ্রধানকে লক্ষ্য করে গ্লাস ছুড়লেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলর
মঙ্গলবার ছিল কাটোয়া পুরসভার বোর্ড মিটিং। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুরপ্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত, এই অভিযোগে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন কয়েকজন কাউন্সিলর। এর পরই শুরু হয় ভাঙচুর, ছোঁড়াছুঁড়ি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাটোয়া পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে ধুন্ধুমার। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড মিটিং চলাকালীন পুরপ্রধানকে লক্ষ্য করে উড়ে এল কাচের গ্লাস, জলের বোতল। পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন তিন তৃণমূল কাউন্সিলরই। বিজেপিতে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করতেই তারা একাজ করেছে বলে দাবি তাঁর।
মঙ্গলবার ছিল কাটোয়া পুরসভার বোর্ড মিটিং। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুরপ্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত, এই অভিযোগে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন কয়েকজন কাউন্সিলর। এর পরই শুরু হয় ভাঙচুর, ছোঁড়াছুঁড়ি। অভিযোগের তির তিন কাউন্সিলর অমর রাম, শ্যামল ঠাকুর ও প্রণব দত্তের দিকে।
ঘটনায় ২ কাউন্সিলর সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় ও সুফল রাজোয়ার জখম হয়েছেন। অভিযুক্ত কাউন্সিলররা পুরপ্রধানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত পুরপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে আমরা মিটিংয়ে সরব হয়েছিলাম। বোর্ড মিটিং বানচাল হয়ে গেলে পুরপ্রধানের ঘরের সামনে অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। বিদ্রোহী কাউন্সিলর অমর রামের অভিযোগ, শুধুমাত্র পুরপ্রধানের অহঙ্কার, পুরসভার দুর্নীতির জন্য কাটোয়ায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।
নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পালিয়ে বাঁচলেন কোনওক্রমে
যদিও পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিন কাউন্সিলর সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সেটা ঢাকতেই একাজ করেছে তারা। এই ঘটনায় ফের কাটোয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।