নিজস্ব প্রতিবেদন : আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল প্রেমিকা। সেটা ভিডিয়ো করে প্রেমিককে পাঠিয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, আত্মহত্যার চেষ্টার ভিডিয়ো পাঠিয়ে প্রেমিককে লাগাতার ব্ল্যাকমেইলিং করে যাচ্ছিলেন তিনি। আর এরপরই আত্মঘাতী হল প্রেমিক। মৃতের নাম সুবীর সাহা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে। অভিযুক্ত তরুণী ঘটনার পর থেকেই পলাতক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের ওয়ারলেস গেট এলাকার বাসিন্দা শীর্ষেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল অভিযুক্ত তরুণী পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দুজনের বনিবনা হচ্ছিল না। রোজ স্বামী-স্ত্রীতে অশান্তি লেগেই থাকত। দাম্পত্য কলহ শেষপর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মাস ছয়েক আগে ডিভোর্স ফাইল করেন শীর্ষেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পায়েল।



এদিকে আদালতে যখন ডিভোর্সের মামলা চলছে, তখনই স্বামীর বন্ধু সুবীর সাহার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এই সম্পর্ককে নিয়েও টানাপোড়েন চলছিল। সম্পর্কে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝেই দুজনের মধ্যে বিবাদ বাধে। অভিযোগ, ঝামেলার পরই একদিন সুবীর সাহাকে আত্মহত্যার হুমকি দেন পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু হুমকি নয়, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আর সেই ভিডিয়ো তুলে পাঠান সুবীর সাহাকে। স্বামী শীর্ষেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পায়েল একই ভিডিয়ো পাঠিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই ভিডিয়ো দেখার পরই নিজের ঘরে আত্মঘাতী হয় সুবীর সাহা।


আরও পড়ুন, ভিড়ে লুকিয়ে থাকা পকেটমারকে এবার সহজেই চিনে ফেলবে ফেস রেকগনিশন সফটওয়্যার, অভিনব উদ্যোগ লালবাজারের


সুবীর সাহার বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিন্দুবিসর্গ জানতেন না। সুবীর সাহার ঘরেই পাওয়া গিয়েছে একটি আড়াইপাতা সুইসাইড নোট। যা পড়েই তারা গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন। এই ঘটনায় আত্মঘাতী সুবীর সাহার পরিবারের তরফে টিটাগড় থানায় পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়।