বিয়ের পরেও ঘরে নেয়নি প্রেমিক, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুরবাড়ি এসে ধরনায় বসলেন যুবতী
`আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি। সমাজের বুকে এরকম ঘটনা যাতে আর না হয়, তার জন্যই লজ্জা, ঘৃণা, ভয় সবকিছুকে উপেক্ষা করে আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন এক তরুণী। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের দিগর অঞ্চলের। আজ সকালে ওই যুবতী প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন। তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি করেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সোহেল রানা নামে ওই যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নাসরিন নামে ওই যুবতীর। দীর্ঘদিন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর যুগল বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হয়। কিছুদিনের মধ্যেই ওই তরুণীকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক সোহেন রানা।
কিন্তু অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাব যাব করেও নিয়ে যায়নি সোহেল রানা। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে টালবাহানা চলতে থাকে। শেষে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক সোহেল রানা। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমিকের কোনও খোঁজ না পেয়ে আজ সকালে শ্বশুরবাড়িতে এসে হাজির হন নাসরিন।
আরও পড়ুন, মিড-ডে মিলে এবার ডিমের সঙ্গে মাছ-চাটনি-পোস্তও, মেনু নির্দিষ্ট করে দিল রাজ্য সরকার
এদিকে, নাসরিন প্রেমিকের খোঁজে শ্বশুরবাড়িতে হাজির হতেই পালিয়ে যান শ্বশুর, শাশুড়িও। প্রেমিকের জন্য ধরনায় বসেন নাসরিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয় কুমারগঞ্জ থানার পুলিস। দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে মীমাংসায় উদ্যোগী হয়েছে পুলিস।
এহেন পরিস্থিতিতে ধরনা-রত নাসরিনের স্পষ্ট কথা, "আমার নিজে পাওনার জন্য আজ আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে চলে এসেছি। আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি। সমাজের বুকে এরকম ঘটনা যাতে আর না হয়, তার জন্যই লজ্জা, ঘৃণা, ভয় সবকিছুকে উপেক্ষা করে আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি।"