মিড-ডে মিলে এবার ডিমের সঙ্গে মাছ-চাটনি-পোস্তও, মেনু নির্দিষ্ট করে দিলেন জেলাশাসক
নতুন মেনুতে ওই দুদিন পড়ুয়াদের হয় ডিম নাহয় মাছ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে মেনুতে রয়েছে চাটনিও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মিড-ডে মিল বিতর্কে সরগরম রাজ্য। চুঁচুঁড়ার এক স্কুলে ছাত্রীদের মিড-ডে মিলে 'নুনভাত, ফেনাভাত' দেওয়াকে কেন্দ্র করে সামনে আসে মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় সব মহলে। ছাত্রীদের নুনভাত খাওয়ার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কড়া পদক্ষেপ করে জেলা প্রশাসন। জেলার স্কুলগুলিতে নজরদারিতে সিসিটিভি বসানোর কথা ঘোষণা করে হুগলি প্রশাসন। এবার জেলার সব স্কুলে কবে কোনদিন পড়ুয়াদের কী খাবার দেওয়া হবে? একেবার সেই মেনু ঠিক করে নির্দেশিকা জারি করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ।
জেলাশাসকের নির্দিষ্ট করে দেওয়া মিড-ডে মিলের মেনুতে এবার যুক্ত হয়েছে মাছ। ডিমের সঙ্গে মাছ দেওয়ার বিকল্পও রাখা হয়েছে মেনুতে। উল্লেখ্য, আগে সপ্তাহে দুদিন পড়ুয়াদের ডিম দেওয়ার কথা ছিল। মেনুতে ওই দুদিন পড়ুয়াদের হয় ডিম না-হয় মাছ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।একইসঙ্গে মেনুতে রয়েছে চাটনিও। মেনুতে আলু -সোয়াবিনের তরকারির পাশাপাশি আলুপোস্ত দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। জেলার সব স্কুলের জন্যই এই মেনু বরাদ্দ করা হয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট মিড-ডে মিলের মেনু-
সোমবার- ভাত, ডাল, আলু-সবজি, চাটনি
মঙ্গলবার- ভাত, ডাল, ডিম বা মাছের ঝোল, চাটনি
বুধবার- ভাত, ডাল, সবজি
বৃহস্পতিবার- ভাত, সবজি, ডিম বা মাছের ঝোল
শুক্রবার- ভাত, ডাল, আলুর তরকারি বা আলুপোস্ত
শনিবার- ভাত, ডাল, আলু-সোয়াবিন তরকারি
প্রসঙ্গত, হুগলির চুঁচুঁড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের নুনভাত দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। ২৫ হাজার টাকার ডিম, ২৫৬ বস্তা চাল কেনার পরেও পড়ুয়াদের 'অভুক্ত' থাকার ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েই স্কুলে হানা দেন স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, নারদা তদন্তে CBI নজরে লুকনো ক্যামেরা, রহস্য উদঘাটনে ফের তলব ম্যাথু স্যামুয়েলকে
বিতর্ক ছড়াতেই তারপর দিন ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডিম-মশলা কিনে নিয়ে স্কুলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। ২৫০টি ডিম ও রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মশলা নিয়ে আসেন তিনি। ফের নতুন করে রান্না বসানো হয়। পড়ুয়াদের দেওয়ার ডন্য সেদ্ধ বসানো হয় ডিম। খাওয়ার আগের মুহূর্তে শেষমেশ মিড-ডে মিলের মেনু বদলে হয়, 'ফেনাভাত, ডিম, নুন।'