সুভাশিস মণ্ডল: সোমবার বাড়ি থেকে স্কুলে বেরিয়ে আর ফেরেনি। রাত থেকেই তোলপাড় করে খোঁজখবর শুরু হয় দুই অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু বৈশাখি ও কুহেলির। কোনও খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার তাদের পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডাইরি করেন আমতা থানায়। কিন্তু ঘরের কাছেই মিল দুজনের মৃতদেহ। এনিয়ে তোলপাড় আমতার মুক্তির চক এলাকা। এদিন বিকেলেই তাদের বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে একটি গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাদের ঝুলতে দেখেন এলাকার মানুষজন। খবর দেওয়া হয় আমতা থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কংগ্রেসের কঠিন সময়! আজাদের পথে হেঁটে পদত্যাগ করে 'হাত' ছাড়লেন আরও ৪২ নেতা


আমতার পীতাম্বর হাইস্কুলের একদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল বৈশাখি পোল্লে ও কুহেলী মাইতি। বৈশাখি থাকতো মামার বাড়িতে। ছোটবেলা থেকেই তারা ছিল অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু। পড়াশোনা, খোলধুলা, স্কুলে যাওয়া থেকে পাড়ায় ঘোরা সবসময় তাদের দেখা যেত একসঙ্গে। সোমবার স্কুলে যায় একসঙ্গে। বিকেল হয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফেরেনি। বৈশাখির মোবাইলে তার বাড়ির লোকজন বারবার ফোন করলেও সে ফোন তোলেনি। খোঁজ খবর শুরু হয় আত্মীয়সজনের বাড়িতেও। কোথাও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফলে বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায় লাফিয়ে। আমতা থানায় মিসিং ডাইরি করেন তাঁরা। দুই পরিবারের লোকজনের দাবি কোনও দিন তাদের দুজনের মধ্যে কোনও ঝাগড়াঝাঁটি হয়নি। কী থেকে কী হয়ে গেল তা নিয়ে ধন্দ্বে দুই পরিবার।


উল্লেখ্য, মার্চ মাসে নদিয়ার তাহেরপুর থেকে নিখোঁজ হারিয়ে যায় দুই মাধ্যমিক পড়ুয়া ছাত্রী। তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা সুরভিস্থানের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ গোস্বামী। তার ছোট মেয়ে রিমি গোস্বামী বাদকুল্লা ভুবনমোহিনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু মাধ্যমিকের পরীক্ষা শুরুর আগেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটে থেকে ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পরিবারের অভিযোগ। এই নিয়ে তাহেরপুর থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।


অন্যদিকে ওই একই এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি রঞ্জন দে- র মেয়ে ঋতুজা ওই একই দিন থেকে নিখোঁজ। তারও এই বছর একই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।  জানা গিয়েছে, রিমি ও ঋতুজা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা একসঙ্গে স্কুলে এবং গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তেও যেতেন। ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রিমি। এরপর সন্ধ্যায় মেয়ে রিমির খোঁজে ঋতুজার বাড়িতে যান পরিবারের সদস্যরা। যদিও সেখানে মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি নিখোঁজ হন ঋতুজাও। যদিও রিমির পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ঋতুজার পরিবারের সদস্যদের দায়ী করা হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)