নিজস্ব প্রতিবেদন: পাড়ারই দোকানে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তরুণী।   প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনে পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরেছিলেন, আসলে মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছে। কিন্তু আর বাড়ি ফিরে আসেনি সে।  ৪ দিন পর খোঁজ মিলল বটে  কিন্তু ঝোপের মধ্যে পচাগলা অবস্থায়!   নিখোঁজ তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ময়নাগুড়ির হেলাপাকুড়ির বাসিন্দা তাপসী রায় স্থানীয় বাসিন্দা জিতু রায়ের সঙ্গে প্রেম করত। পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাপসীকে ফোন করে জিতু। তাকে দেখা করতে বলে।  জিতুর সঙ্গে মেয়ের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা জানতেন তাপসীর পরিবার।  তাপসী বাড়িতে জানায়, দোকানে যাচ্ছে সে। সবটা জেনেও সেদিন বাধা দেননি তাপসীর বাবা-মা।


আরও পড়ুন: পুজোর আগেই সুখবর: ১০০ টাকার পেট্রোল কিনলে ফেরত পাবেন ৪০ টাকা ৭৫ পয়সা!


শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফেরত আসেনি তাপসী। তার পরিবারের দাবি, শনিবার সন্ধ্যা থেকে বেপাত্তা জিতুও। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। বাড়ি থেকে তাঁকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজা হয়েছিল। তারপর স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।


মঙ্গলবার সকালে ময়নাগুড়ির জল্পেশ মেলার মাঠের পাশে জর্দা নদীর ধারে ঝোপের মধ্যে একটি  দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেখা য়ায়, দেহে পচন ধরেছে। অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শরীর। দেহের এমনই অবস্থা হয়েছিল, যেতা দেখে শণাক্ত করা কঠিন!  দেহ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করেছিল।  খুন করে যে দেহ ফেলে রাখা হয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল পুলিস। এছাড়াও  খুন যে কয়েকদিন আগেই করা হয়েছে, তাও অনুমান করছে পুলিস।


আরও পড়ুন: মেয়ের শিক্ষিকার সামনে বসেই মদ্যপান দম্পতির,  ছাত্রী  ঘুমোতে চলে যাওয়ার পর ...


জিতুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। এই ঘটনায় জিতুর দিকেই সন্দেহের তির তরুণীর পরিবারের। জিতু ছাড়াও এই কাজে অন্য কেউ জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।