নারায়ণ সিংহরায়: ফের জোরালো হচ্ছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি? জিটিএ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে এবার সরে দাড়াল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। চিঠিতে উল্লেখ, 'পাহাড়-সমতলে আর আন্দোলন নয়। পাহাড়ের দাবি পৌঁছে দেওয়া হবে দিল্লিতে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখন রাজ্য়ে সদ্য পালাবদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০১১ সালে ১৭ জুলাই পাহাড়ে তৈরি করা হয় জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। কীভাবে? কেন্দ্র, রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। পৃথক রাজ্যের দাবি অবশ্য বজায় ছিল। 


মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে এক যুগ। স্রেফ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে সরে আসা নয়, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জানালেন, '২০১৫ সালে সুভাষ ঘিসিংয়ের মৃত্যুর দিন শেষ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল, তার পর থেকে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক বা রিভিউ মিটিং নিয়ে হেলদোল নেই কোনও সরকারের। আমরা জিটিএকে সমর্থন করছি না'।



এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে দার্জিলিং পুরসভার পালাবদলের পর তৃণমূল ছাড়লেন বিনয় তামাং। বিবৃতি দেন, 'দার্জিলিংয়ে গণতন্ত্র বিপন্ন। পাহাড়ের কিছু নেতাকে নিয়ন্ত্রণ করছে সমতলের দল। এটা দেশে ঐক্য়, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার আঘাত'।


আরও পড়ুন: Amartya Sen: 'নোবেলজয়ীই নন', উপাচার্যের মন্তব্য শুনে হেসে ফেললেন অর্মত্য সেন


এদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে সরানো দাঁড়ানোকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে অনেকেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বাংলার মানুষ, পাহাড়ের মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করবে। কে কোথায় কাকে চিঠি দিচ্ছে, তার কোনও গুরুত্ব নেই'। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, 'যাঁরা বিরোধিতা করছেন, বাস্তবে তাঁরা জনভিত্তি হারিয়ে ফেলেছেন। এই মুহুর্তে পাহাড়ের মানুষ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছেন'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)