নির্মল পাত্র: রুদ্র রূপে দুর্গাপুজো! তিনশো বছরের পুরনো রীতি মেনে আজও এই দেবীর পূজা করেন কনৌজ ব্রাহ্মণই। দেওয়া হয় পাঁচ মন চালের নৈবেদ্য। হরিপালের সিংহরায়বাড়ি। খুবই বিখ্যাত পরিবার। হরিপালের একাধিক স্কুল এবং হাসপাতাল নির্মাণে বড়সড় অবদান রয়েছে এই সিংহরায় পরিবারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Durga Puja 2023: হোমস্টে'র জানলা খুললেই বরফমোড়া পাহাড় চান? পুজোয় চলুন ফুলরঙিন এই ঠিকানায়...


প্রায় তিনশো বছর আগে রাজস্থান থেকে হুগলির হরিপালে এসে বসবাস শুরু করে এই সিংহরায় পরিবার। বর্ধমান রাজার অধীনে জমিদারির দায়িত্ব পান  সিংহরায় পরিবারের হরিদয়াল সিংহরায়। তিনিই প্রথম দুর্গা পূজার প্রচলন করেন এখানে। রুদ্ররূপে দুর্গা পূজার কারণেই সিংহরায় পরিবারে মা কালীর আরাধনা হয় না।


তিনশো বছরের নিয়মরীতি মেনে আজও ছাগবলির প্রথা চালু। নিয়মমেনে ষষ্ঠীর দিন থেকেই শুরু পুজো। এবাড়ির পুজোর উল্লেখ্যযোগ্য দিক হল-- অষ্টমীর সন্ধিপুজোয় দু'মন আতপ চাল দেওয়া হয় নৈবেদ্যে। 


আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: মাত্র আড়াই ফুটের দুর্গা প্রতিমা! শান্তিপুর থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছে...


নবমীর দিন যে কোনও ব্রাহ্মণ পরিবারের কন্যাকে কুমারী রূপে পূজা করা হয়। তবে কুমারী পুজো করেন সিংহরায় পরিবারের যে কোনও গৃহবধূ, কোনও ব্রাহ্মণ নন। নিয়ম মেনেই মোট চারটি ছাগ বলি দেওয়া হয়। এই বলি প্রথাও শুরু হয়েছিল সেই তিনশো বছর আগেই। সিংহরায় বাড়ির দুর্গাদালানের কাছেই স্থাপন করা আছে শিব মন্দির। যেখানে নিত্য পূজিত হন মহাদেব।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)