মনের ভুলে গয়না ভর্তি প্রেসারকুকার দান করলেন গৃহকর্ত্রী, উদ্ধার করল পুলিস
সারা বাড়ি হাতড়ানোর পর গিন্নির মনে পড়ে প্রেসার কুকার সিন্দুকের কথা। চলে যান চন্দননগর থানায়। পুলিস রংমিস্ত্রিকে কুকার ও সোনার গয়না নিয়ে আসতে বলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চুরির ভয়ে সোনার গয়না লুকিয়ে রেখেছিলেন প্রেসার কুকারে! ভুলে গিয়ে সেই পুরনো প্রেসার কুকারই দান করে দিলেন রংমিস্ত্রিকে! এসবের মধ্যেই হঠাত্ বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণ। গয়না খুঁজতে গিয়ে গিন্নি বুঝে যান, কী মারাত্মক ভুলটাই না করে ফেলেছেন! তারপর কী হল? জানতে হলে যেতে হবে চন্দননগরের বৈদ্যপোতায়।
সোনার গয়না। চিরন্তন গুপ্তধন। রাজরাজা থেকে সাধারণ গেরস্থ -সবাই সামলে রাখেন। রাজকোষের সিন্দুক থেকে ব্যাঙ্কের ভল্ট-সময়ের সঙ্গে বদলেছে গয়নার বাক্স। কিন্তু সাধারণ গেরস্থ বাড়িতে ছবিটা উল্টো। পানের বাটা, মশলার কোটো, হোমিওপ্যাথি বাক্সের মতো সাধারণ উপাদানই হয়ে ওঠে গিন্নিমায়ের গুপ্তধনের আধার। চন্দ্রহার থেকে চূড়, মান্তাসা থেকে কোমরের বিছে, সবই থাকে চোখের সামনে অথচ একেবারে আড়ালে!
আরও পড়ুন- রক্ত দিয়ে অন্যের প্রাণ বাঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের!
চন্দননগরের বৈদ্যপোতার বাসিন্দা রাণু ভট্টাচার্য আরও এককাঠি ওপরে। মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া হার, কানের দুল, বালা,বাউটি রেখেছিলেন এই প্রেসার কুকারে! বছরের পর বছর ধরে একটি কুকারই ছিল ভট্টাচার্য ঘরণীর সিন্দুক। কিন্তু গোল বাধে মিস্ত্রি লাগিয়ে। বাড়িতে রংয়ের কাজ চলছে। গরিব মানুষের কাজে লাগবে, এই ভেবে পুরনো প্রেসার কুকার রংয়ের মিস্ত্রিকে দিয়ে দেন রাণুদেবী। বেমালুম ভুলে যান গয়নার কথা। আর এভাবেই কুকারের সঙ্গে হাতছাড়া হয়ে যায় ৮০ গ্রাম সোনার গয়না!
এর মধ্যেই আসে বিয়েবাড়ির নেমন্তন্ন। খোঁজ পড়ে গয়নার। সারা বাড়ি হাতড়ানোর পর গিন্নির মনে পড়ে প্রেসার কুকার সিন্দুকের কথা। চলে যান চন্দননগর থানায়। পুলিস রংমিস্ত্রিকে কুকার ও সোনার গয়না নিয়ে আসতে বলে।
অবশেষে, মায়ের স্মৃতিবিজড়িত গয়না ফিরে পেয়ে ভট্টাচার্য ঘরণী খুশি। একই সঙ্গে এবার আরও সাবধানী। আর প্রেসার কুকারের সিন্দুকে নয়, গয়না পাঠিয়েছেন একেবারে ব্যাঙ্কের লকারে।