বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: কয়লা মাফিয়ারা নিজেদের প্রফেশন বদলে সরকারি জমি, পুকুর, নদী দখল করে সাধারণ মানুষকে প্লট করে বিক্রি করছে, হাইকোর্ট এর নির্দেশে এবার তার দখল নিতে শুরু করল জেলা প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়লা মাফিয়ারা সরকারি জমি দখল করে প্লটিং করে সাধারণ মানুষকে বিক্রি করে দিচ্ছিল। এই অভিযোগ বার বার জেলা প্রশাসনকে বলে কোনও লাভ হয়নি বলে আভিযোগ। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয় আসানসোল এর গোবর্ধন মন্ডল নামে এক ব্যক্তি।


আরও পড়ুন: Bengal Weather: ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহে পুড়তে পারে বাংলা? একাধিক জেলায় সতর্কবার্তা জারি!


আসানসোল পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মরিচকোটা, গোপালপুর মৌজায় প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি, মাফিয়ারা নিজেদের কব্জায় নিয়ে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে দিয়েছিল। কোলকাতা হাইকোর্টে গোবর্ধন মন্ডল জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলার রায়ের কপি হাতে পেয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ভূমি দফতর জমিগুলো নিজেদের দখলে নেয়।


এই বিষয়ে জেলা শাসক অরুণ প্রসাদকে প্রশ্ন করলে উনি বলেন, আদালতের নির্দেশে জমিগুলো নিজেদের দখলে নেওয়া হয়। এই রকম সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার খবর পেলেই জমি নিজেদের দখলে নেওয়া হয়।


ভূমি দফতরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা শাসক সন্দীপ টুডু বলেন, ‘এছাড়াও আরও অনেক জমি দখল মুক্ত করা হয়েছে’। স্থানীয় নদীর কথা জিজ্ঞাসা করা হলে সন্দীপ টুডু বলেন, ‘আমার জানা নেই। ম্যাপে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, এইরকম কোনও নদী আছে কিনা যার নাম নুনীয়া ও গাড়ুই’। তিনি আরও বলেন, ‘একটি পুকুর ভড়াট করা হয়েছে তা পুনরায় পুকুর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি না করে তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুকুর করে দেওয়া হবে’।


আরও পড়ুন: Sangrami Joutho Mancha: রাজ্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ যৌথ মঞ্চের...


গারুই গ্রামের কাছে প্রায় নয় একর জমি জেলা প্রশাসন নিজেদের দখলে নেয়। কুলটিতেও প্রায় ১২ একর জমি নিজেদের দখলে নেয় জেলা প্রশাসন। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তাদের অনেক জমি রয়েছে, সেই জমিগুলো তারা নিজেদের দখলে নিচ্ছেন। আইনের হাত অনেক লম্বা এই ভাবে জমি দখল করে কেউ পার পাবে না।


মামলাকারী গোবর্ধন মন্ডল বলেন, ‘এই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা ছিল কোন জমিগুলো সরকারি জমি। বারবার জেলা প্রশাসনকে বলে কোনও লাভ হয়নি। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বের হতো বার বার, কিন্তু কাজ কিছু হতো না। বাধ্য হয়ে কোলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করি। তার রায় বের হয়েছে। সরকার আদালতের নির্দেশে জমিগুলো নিজেদের দখলে নিয়েছে। স্যানরেলে সাইকেল কারখানার জমিও প্লটিং করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা আছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই রকম আরও বহু জমি আছে সেই গুলো নিয়েও মমাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)