নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন শেষই হচ্ছে না! রাজ্যপাল বনাম শাসক দলের ঠোকাঠুকি লেগেই চলেছে। নাম না করে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে বিজেপির মুখপাত্র আখ্যা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সড়কপথে ফরাক্কায় যেতে গিয়ে রাজ্য সড়কের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জগদীপ ধনখড়। বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জবাব, রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়ক চেনেন না রাজ্যপাল।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সড়ক পথে ফারাক্কা যাওয়ার সময় বীরভূমের সিউড়ির সার্কিট হাউসে আধ ঘন্টার জন্য বিশ্রাম নেন। সেখানেই সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন,"জাতীয় সড়কে কোনও সমস্যায় পড়েননি। প্রথম দিকে রাজ্য সড়কও ঠিকঠাক ছিল। তবে রাজ্য সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গার অবস্থা বেহাল। রাস্তা খারাপের জন্য ঝটকাও খেতে হয়েছে। ঝটকা তো জীবনে খেতে হবে!" অর্থাত্ জাতীয় সড়কে নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করলেও রাজ্য সড়কের হাল নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। 
 
কিন্তু রাজ্যপালকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়, "জানি না উনি কোন রাস্তায় এসেছেন। আসলে ওনার দোষ নাই। উনি তো রাস্তাঘাট চেনেন না। কোনটা জাতীয় সড়ক, কোনটা রাজ্য সড়ক, উনি হয়তো ঠিক করতে পারেননি। ওনার পিএ-টিএ যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ঠিকঠাক বোঝাতে পারেননি।" 



এরপরই অনুব্রত বলেন,"আমার মনে হয় না, রাজ্য সরকারের রাস্তা খারাপ, আমার অন্তত জানা নাই। সিউড়ি থেকে কাটোয়া পর্যন্ত রাস্তা করা হয়েছে। ওই রাস্তার একটা অংশও খারাপ নয়।"


বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন,''রাজনীতির সঙ্গে প্রশাসনকে মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়। এতে আখেরে গণতন্ত্রের ক্ষতি। বুলবুল বিধ্বস্তদের সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। যাওয়ার দরকার হলে নিশ্চিতভাবে যাব।'' শুক্রবার জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের কাছে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, বুলবুল নিয়ে রাজ্য আমাকে কিছু জানায়নি। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে জানাতে বাধ্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছু জানাননি। 


আরও পড়ুন- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া সিনেমা করা সম্ভব নয়, এখন আরও বেশি করে দরকার: মমতা