নিজস্ব প্রতিবেদন : ফোন করে 'গৃহবন্দি' সাংসদের খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো চিঠির অনুলিপিও চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানার অন্তর্গত লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে গত ৩ দিন ধরে 'গৃহবন্দি' আলিপুর দুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। পরিস্থিতি সবিস্তারে জানিয়ে অমিত শাহর হস্তক্ষেপ চেয়ে মঙ্গরবার তাঁকে চিঠি লেখেন সাংসদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংসদ জন বার্লা জানিয়েছেন, আজ বেলার দিকে তাঁকে ফোন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রায় মিনিট চারেক কথা হয় তাঁদের মধ্যে। উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সবিস্তারে রাজ্যপালকে জানান তিনি। এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে, বিভিন্ন দফতরে পাঠানো চিঠির অনুলিপিও তাঁর থেকে চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। সাংসদ আরও বলেন, অমিত শাহের পর তিনি লোকসভার স্পিকারকেও চিঠি দিয়ে সবকিছু জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে কার নির্দেশে পুলিস 'গৃহবন্দি' করেছে তা জানার জন্য RTI করবেন তিনি। 


প্রসঙ্গত আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত বান্দাপানি চা বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ওই চা বাগানটি দত্তক নিয়েছেন আলিপুর দুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। এখন করোনায় লকডাউন থাকার ফলে সেই বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার শ্রমিকদের হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে বান্দাপানি চা বাগানের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। 


তাঁর অভিযোগ, তিনি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বান্দাপানি চা বাগানের উদ্দেশে রওনা হলে রেতি নদীর পাড়ে তাঁকে আটকে দেয় জলপাইগুড়ি বানারহাট থানার পুলিস। বাধ্য হয়ে এরপর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তারপরই সোমবার সকাল থেকে তিনি 'গৃহবন্দি' হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করে পুলিস।


আরও পড়ুন, ১৪ রকমের সবজি সঙ্গে ২টো ডিম, অসহায় ২৫০ পরিবারের মুখে হাসি ফোটাল 'বিনামূল্যে বাজার'