নিজস্ব প্রতিবেদন : দীপাবলির আগের রাতেই সমস্ত আলো নিভে গিয়েছে নদিয়ার রঘুনাথপুর গ্রামে। নেমে এসেছে আঁধার। গ্রামের ছেলে সুবোধ ঘোষ শহিদ হয়ে গিয়েছেন কাশ্মীরে পাক সেনাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে। ১৩ নভেম্বর কাশ্মীরে গুরেজ ও উরি সেক্টরে পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন জেনারেল সুবোধ ঘোষ। সুদূর কাশ্মীর থেকে রঘুনাথপুর গ্রামে দুঃসংবাদ এসে পৌঁছনো মাত্রই শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। কাল দীপাবলির রাতে গ্রামের কোনও মণ্ডপে প্রতিমা আসেনি। জ্বলেনি আলোও। ঘরের ছেলের অকাল প্রয়াণে কান্নার রোল চারদিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ শ্রীনগর থেকে রঘুনাথপুরে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছাবে শহিদ সুবোধ ঘোষের মরদেহ। শ্রীনগর থেকে দিল্লি হয়ে সোজা দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছাবে দেহ। তারপর সেখান থেকে দুপুর ১টা নাগাদ পানাগড়ে দেহ পৌঁছানোর কথা। তারপর সেখান থেকে সড়কপথে নদিয়ার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছাবে শহিদ সুবোধ ঘোষের নশ্বর দেহ। ডিসেম্বর মাসেই ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল সুবোধ ঘোষের। ঠিক ছিল সেইসময় ফিরে মেয়ের অন্নপ্রাশন দেবেন। বাড়ির অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন। কিন্তু সবই অসমাপ্ত রয়ে গেল। ডিসেম্বরের আগেই বাড়ি ফিরছেন তিনি, তবে কফিনবন্দি হয়ে।




বৃহস্পতিবারও বাড়িতে ফোন করেছিলেন সুবোধ। কথা হয়েছিল স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে। তারপরই শুক্রবারই আসে দুঃসংবাদ। ২৪ বছরের তরতাজা ছেলের অকাল প্রয়াণে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন মা বাসন্তী দেবী। ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ বাবা গৌরঙ্গ ঘোষ। শহিদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন সকালে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। শহিদ জওয়ানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। পাশাপাশি, তিনি এও জানিয়েছেন শহিদ জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। যোগ দিতে পারেন শহিদ সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্যেও।


আরও পড়ুন, সকালে অবস্থার আরও অবনতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের, চিকিৎসকরাও আশা দেখছেন না