নিজস্ব প্রতিবেদন :  বারকপুরের পুলিস কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। গান্ধীজির ৭২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে এদিন উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরের গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যান রাজ্যপাল। সেখানেই পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মাকে তীব্র ধমক দেন তিনি। একইসঙ্গে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উগরে দেন ক্ষোভ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মার উদ্দেশে ক্ষুব্ধ রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায়, "প্রথম সারিতে বসে আপনি খবরের কাগজ পড়ছেন? এটা কী ধরনের আচরণ? আপনারা থাকেন কোথায়? লজ্জা হওয়া উচিত। উর্দি পরে আপনি যদি এটা করেন, তাহলে অন্যরা আপনাকে দেখে কী শিখবে, কী করবে?" এখানেই শেষ নয়। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তোপ দাগেন রাজ্যপাল ধনকড়। উগরে দেন তীব্র ক্ষোভ। বলেন, "আজ গান্ধীজির প্র‍য়াণ দিবস। এই দিন অহিংসার দিন। সেখানে রাজ্যজুড়ে হিংসা চলছে। রাজ্যের কোথাও আইন বলে কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলার চূড়ান্ত অবনতি। পুলিস প্রশাসন চুপ করে আছে।"


এদিকে একদিকে রাজ্যপাল যখন পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা সহ পুলিসের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, তখন সরকারের তরফে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পাল্টা তোপ দেগেছেন জগদীপ ধনকড়ের উদ্দেশে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, "এমন কিছুই ঘটেনি। পুরোটাই ওনার পূর্ব পরিকল্পিত। তীব্র নিন্দা করছি ওনার ব্যবহারের।"


বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথায়, "গান্ধীঘাটে আমি ও স্বরাষ্ট্রসচিব ওনার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। অপেক্ষা করছিলাম। উনি গাড়ি থেকে নামার পর আমি ও স্বরাষ্ট্রসচিব হাত জোড় করে নমস্কার করলাম। কিন্তু উনি কোনও প্রতি নমস্কার করলেন না। কোনও কথাও বললেন না। সোজা হেঁটে চলে গেলেন। তারপর বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে লাগাতার পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। যা আজকে গান্ধীজীর প্রয়াণ দিবসের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়। এটা প্রি প্ল্যানড।"


আরও পড়ুন, দিলীপ ঘোষের বদলে বিজেপি সভাপতি হতে পারত কোনও 'জন্তু-জানোয়ার'!


আরও পড়ুন, জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত প্রশান্ত কিশোর কি এবার তৃণমূলে? জোর জল্পনা


পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা ও বাকি পুলিস কর্মীরা তাঁর প্রতি যথোপযুক্ত সম্মাান দেখাননি বলে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অভিযোগ, এক সিনিয়র পুলিস অফিসার হয়ে মনোজ ভার্মা উর্দি পরিহিত অবস্থায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সামনে 'ক্যাজুয়ালি' খবরের কাগজ পড়ছিলেন। লাগাতার পড়েই চলেন তিনি। যদিও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সাফ দাবি, "উনি যখন বসেছিলেন, পুলিসরা তখন দাঁড়িয়েই ছিলেন।"