নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতি, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, আমফান ত্রাণে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এনিয়ে তাঁদের  মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনার পর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেন ধনখড়।  পরে রাজ্যপালের তরফে এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু, সপ্তাহে ২ দিন গোটা রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন


করোনা পরিস্থিতি


রাজ্যে দিন দিন বাড়ছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। কিন্তু সরকার উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারছে না। এতে কোভিড আক্রান্তের সমস্যা বাড়ছে। এনিয়ে রাজ্যের মনুষ উদ্বিগ্ন। এমনটাই অমিত শাহকে জানিয়েছেন ধনখড়। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য়পালের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।


আমফানে দুর্নীতি


আমফানের ত্রাণে দুর্নীতি নিয়েও অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে তাঁর বার্তা, ত্রাণ দেওয়ার থেকে শাসক দলের লোকজন ত্রাণের টাকা সরিয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতি রোখার জন্য রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। বরং তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, আমফানের ত্রাণ বন্টনে যে দুর্নীতি হয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কোনও কোনও ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াও হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও এনিয়ে অভিযোগ তুলেছে শাসকদল।


আইন শৃঙ্খলা


রাজ্যে বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরে আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ধনখড়। এতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। গত এক বছর ধরে এই অবস্থা চলছে। সংবিধান লঙ্ঘন বহু কাজ করা হচ্ছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিস দল দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিস আধিকারিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।


এক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, হেমতাবাদের বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতারা। রাজ্যপালের কাছেও তাঁরা দরবার করেন।


আরও পড়ুন-আক্রান্তের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ


শিক্ষায় রাজনীতি


অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যে উচ্চশিক্ষার প্রসঙ্গও টেনে আনেন ধনখড়। উচ্চশিক্ষায় রাজনীতি ঢোকানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বাধে রাজ্যপালের। তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন ধনখড়।