নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে চলা হিংসা, হানাহানির ঘটনায় নিন্দায় সরব রাজ্যপাল। শুধু ভাটপাড়া নয়, গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। রাজ্যে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর জন্য সব পক্ষকেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বৃহস্পতিবার নতুন থানা উদ্বোধনের আগে ফের নতুন করে অশান্তি ছড়ায় ভাটপাড়ায়। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাটপড়া। থানার ২০০ গজের মধ্যে চলে বোমাবাজি। শূন্যে ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিস। গুলিবিদ্ধ হয়ে রামবাবু সাউ ও সন্তোষ সাউ নামে ২ জনের মৃত্যু হয়। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেন সন্ত্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকালই ভাটপাড়া ও জগদ্দল থানা এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।


ভাটপাড়ায় অশান্তির ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালেই নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ডিজি বীরেন্দ্র প্রমুখ। বৈঠকে ভাটপাড়ার ঘটনায় প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অশান্ত ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরাতে রং না দেখে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, "রং না দেখে গ্রেফতার করুন। যাঁকে যাঁকে প্রয়োজন গ্রেফতার করুন। তিন দিনের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনও রং দেখার প্রয়োজন নেই।"


আরও পড়ুন, ভাটপাড়ায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা BJP-র


একইসঙ্গে অস্ত্র উদ্ধারে স্পেশাল ড্রাইভ চালানোরও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানান, ভাটপাড়ায় অশান্তির পিছনে রয়েছে বহিরাগতরা। ভাটপাড়া ও জগদ্দলে বেশকিছু পকেটে বহিরাগতরা ঘাঁটি গেড়েছে। স্থানীয় সমাজবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে তারা। এরপর সন্ধ্যা থেকেই ভাটপাড়ায় শুরু হয় রুটমার্চ। রাতভর চলে তল্লাশি। অশান্তি ছড়ানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বোমা।