Murshidabad News: রোগী তুলতে হবে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেই, চালক-আত্মীদের বচসার মধ্যেই প্রাণ গেল মুমূর্ষু মহিলার
Murshidabad News:রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতাল চত্বেরই রোগী-সহ অ্যাম্বুল্য়ান্সকে বেশ খানিকক্ষণ আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে যখন হাসপাতালের বাইরে বের করা হয় সেখানেও গিয়ে হাঙ্গামা করে সরকারি অ্যাম্বুল্য়ান্স চালকরা। মারধরও করা হয় পরিবারের লোকজনকে
সোমা মাইতি: রোগীকে স্থানান্তরিত করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড অ্যাম্বুল্য়ান্স চালকদের মধ্য়ে। গুরুতর অসুস্থ রোগী পড়ে রইলেন অ্যাম্বুল্য়ান্সেই। মারামারি লেগে গেল সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও রোগীর পরিবারের লোকজনদের মধ্যে। সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাবি, রোগীকে তুলতে হবে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেই। গোলমালের মধ্যে রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়ে গেল অনেকটাই দেরি। পরিবারের দাবি, ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে না যেতে পারায় প্রাণ গেল রোগীর। গতকাল রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সালারে।
আরও পড়ুন- মন্ত্রীকন্যাকে সরিয়ে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ববিতা, এবার বাতিল হল সেই চাকরি
গতকাল সালার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর মাকে(৪২) নিয়ে আসেন স্থানীয় মাধাইপুরের বাসিন্দা সাকিব আলি। হাসপাতালের চিকিত্সকেরা রোগীকে কলকাতায় স্থানান্তর করেন। ওই কথা শুনেই সাকিব আলি তাঁর পরিচিত এক অ্য়াম্বুল্য়ান্সকে হাসপাতালে ডাকেন। তারপরই শুরু হয় গন্ডগোল। রোগীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তুমুল বচসা বেধে যায় হাসপাতালে থাকা অ্য়াম্বুল্যান্স চালকদের। তাদেরকে চাপ দেওয়া হয় হাসপাতালের অ্য়াম্বুল্যান্সই নিতে হবে। অভিযোগ রোগীর সামনেই সাকিব আলি ও তাঁর আত্মীয়দের মারধর করা হয়। দীর্ঘক্ষণ অ্য়াম্বুল্য়ান্স আটকে রেখে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতাল চত্বেরই রোগী-সহ অ্যাম্বুল্য়ান্সকে বেশ খানিকক্ষণ আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে যখন হাসপাতালের বাইরে বের করা হয় সেখানেও গিয়ে হাঙ্গামা করে সরকারি অ্যাম্বুল্য়ান্স চালকরা। মারধরও করা হয় পরিবারের লোকজনকে। তাতেই অনেকটা দেরি হয়ে যায়। গোটা ঘটনাটি বিএমমওএইচকে জানানো হয়। অভিযোগ করা হয় পুলিসেও। অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।
ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলে, কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত সন্তানকে বাজার করার ব্যাগে ভরে বাবাকে নিয়ে আসতে হল। গোটা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গুলোতে যারা অ্যাম্বুলেন্স চালায় তাদের একটা নেক্সাস রয়েছে। তাদের ঠিক করা রেটেই পেশেন্ট পার্টিকে যেতে হবে। না হলে যেতে পারবেন না। এর কাটমানির টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কাছে পৌঁছায়। গোটা রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির একটা জাল তৈরি হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাকে কেন্দ্র করে। যেখানে ভাড়া ৮ হাজার টাকা হওয়ার কথা সেখানে ১২-১৪ হাজার টাকা বিভিন্ন পেশেন্ট পার্টির কাছ থেকে ডিমান্ড করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা হাসপাতালে তৃণমূল কংগ্রেস সিন্ডিকেট চলছে।